চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি অবরুদ্ধ, পদত্যাগ দাবি
প্রকাশ | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
চট্টগ্রাম বু্যরো
বৈষম্যবিরোধী সাধারণ নাগরিক সমাজ নামে একটি সংগঠন চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি এ কে এম ফজলুলস্নাহ'র পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন করেছে। এমডিকে তার কক্ষে প্রায় এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
রোববার বেলা ১১টার দিকে এমডির কার্যালয়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন তারা। এ সময় ১৭টি দাবি তুলে ধরেন আন্দোলনকারীরা।
দাবিগুলো হলো- এমডি ফজলুলস্নাহ'র আয়কর বিবরণী ২০০৯-২০২৪ এবং সম্পদ বিবরণী জনসম্মুখে প্রকাশ, ভ্রমণ বিল (২০০৯-২০২৪) এর পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশ এবং ভ্রমণ বিলকে ব্যবসায় পরিণত করায় অনতিবিলম্বে তা সরকারি কোষাগারে জমা করা, অবিলম্বে স্বৈরাচারী সরকারের পোষ্যদের নিয়ে গঠিত বোর্ড বাতিল, চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রকৌশল ও রাজস্ব শাখাকে ঢেলে সাজানো, দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, ৪ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষ নিয়ে তান্ডবে অংশ নেওয়া ওয়াসার কর্মচারীদের চিহ্নিত করে স্থায়ী বহিষ্কার করা, সরকার পতনের পর এমডির দেওয়া সব অবৈধ অফিস আদেশ বাতিল, ফজলুলস্নাহ'র সময় বহিষ্কৃত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা, যেসব কর্মকর্তা প্রাধিকারের বাইরে গাড়ি ও জ্বালানি ভোগ করছেন, তা সরকারি কোষাগারে জমা করা, যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী অধিক ৫ বছর একই কর্মস্থলে কর্মরত, তাদের দ্রম্নত বদলি করা, বিগত সরকারের আমলে সমাপ্ত ও চলমান প্রকল্পের নথি-অডিট-সংক্রান্ত তথ্য ও সব ক্রয়ের হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশ করা, চট্টগ্রাম ওয়াসা রেস্ট হাউসের বিদু্যৎ বিল, পানির বিল, গ্যাসের বিল (২০০৯-২০২৪) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিজ খাত থেকে পরিশোধ করতে হবে।
ব্যারিস্টার কলেজ এলাকায় অবৈধ সংযোগের তদন্ত-ওয়াটার ওয়ার্কসে ভাউচারে পানি বিক্রির টাকা আত্মসাতের তদন্ত প্রতিবেদনসহ ২০০৯ এর পর সংগঠিত অন্যান্য দুর্নীতির তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রকল্প, রাজস্ব ও রাজস্ব শাখার দুর্নীতি প্রতিরোধে স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে মনিটরিং সেল চালু করতে হবে। বিক্রয় বিভাগে ১৫ বছর ধরে কর্মরত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা রিচার্ড নেলসন পিনারুর অনিয়ম তদন্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। উইংস লিমিটেড নামের ঠিকাদার থেকে স্মার্ট মিটার কিনে 'পদ্মা' নামে বিল করার রহস্য ও অনিয়ম তদন্ত করে অভিযুক্তদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বিগত ১০ বছর ধরে ৩০-৩৫ শতাংশ পানি সিস্টেম লস দেখিয়ে বিপুল অর্থ আত্মসাতের সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তি দিতে হবে। বিগত ১৫ বছরে করোনাসহ নানা সংকটের মধ্যে পানির দাম বাড়িয়ে মানুষের কষ্টের প্রতিকার করতে হবে।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, অনিয়ম করার পরও এ কে এম ফজলুলস্নাহ এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। পদত্যাগের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওয়াসার এমডি এ কে এম ফজলুলস্নাহ। তিনি বলেন, কয়েকজন এসে আমার রুমে আন্দোলন করেছে। তারা আমার পদত্যাগ দাবি করেছে। আমাকে সরকার এই পদে বসিয়েছে। সরকার যেদিন আমাকে বলবে, আমি তখনই পদত্যাগ করব। আমি যদি আজকে পদত্যাগ করি, কাল যদি আমাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়, এর দায়ভার কে নিবে?