গাজীপুরের তৎকালীন পুলিশ সুপার হারুন (ডিবি হারুন) ও তার দোসরদের জুলুম ও ভয়াবহ নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন যুবদল নেতা রমজান আলী। গত বুধবার সকালে নিজের বাসায় সাংবাদিকের কাছে তার ওপর নির্যাতনের কথা বলেন তিনি। রমজান আলী গাজীপুর সদর উপজেলা মির্জাপুর ইউনিয়ন তালতলী গ্রামের মরহুম আকবর আলীর ছেলে। স্থানীয় ইউপি সদস্য, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সদস্য তিনি।
রমজান আলী জানান, গাজীপুরের মনিপুর পিরুজালী রোডে একটি গাড়িতে আগুন দেওয়ার মিথ্যা ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৩২ জনের নাম উলেস্নখ করে নাশকতা
মামলা করা হয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। ওই মামলায় তাকে ৩ নম্বর আসামি করা হয়।
তিনি বলেন, 'এই মামলার সূত্র ধরেই হারুন আমার ওপর নিষ্ঠুরতা শুরু করেন। হারুনের নির্দেশে ২০১৭ সালের ২৬ মে রাতে তার পেটোয়া বাহিনী আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নেয়। মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে দশ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় চোখ বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করে। কেউ বলে- স্যার ওকে শুট করে জঙ্গলে ফেলে দিন। আমি ভয়ে কুঁকড়ে যাই। পরে আমাকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রম্নতি দিয়ে রাতেই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সাড়ে তিন লাখ টাকা আদায় করেন তিনি। কিন্তু আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি।'
যুবদল নেতা বলেন, 'সকালে থানায় নিয়ে আবারও আমার ওপর চালানো হয় নির্যাতন। মামলার ভয় দেখিয়ে আরও দুই লাখ টাকা আদায় করে আদালতে পাঠালে ৪৫ দিন কারাভোগ করে জামিনে বের হই। একই বছরের ৭ নভেম্বর রাতে আবারও বাসা থেকে তুলে আনা হয় আমাকে। রাখা হয় হোতাপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে। আরও একটা নাশকতা মামলায় ফাঁসানোর হুমকিতে দুই লাখ টাকা দিয়ে মুক্তি মিললেও মামলা থেকে রেহাই মেলেনি।'
রমজান আলী বলেন, '২০২৩ সালে ২৬ অক্টোবর আমাকে গ্রেপ্তার করে জয়দেবপুর থানা পুলিশ এবং একটি নাশকতা মামলার আসামি করে আদালতে পাঠায়। ৮৫ দিন জেল খেটে জামিনে বের হই। হারুনের নির্যাতনের ক্ষত ও ৭টি মিথ্যা মামলা নিয়ে এক রকম মানসিক যন্ত্রণা নিয়েই বেঁচে আছি। আমি এই ডিবি হারুন ও তার দোসরদের বিচার দাবি করছি।'