সংবাদ সংক্ষেপ
প্রকাশ | ৩১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে
এক সঙ্গে চার পুত্র
সন্তানের জন্ম!
ম স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এক সঙ্গে চার পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন সাদিয়া আক্তার (২১) নামে এক গৃহবধূ। বৃহস্পতিবার দুপুরে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চার সন্তানের জন্ম দেন তিনি। মা ও চার সন্তান সুস্থ রয়েছে। সাদিয়া টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল ইউনিয়নের পেরাগজানি গ্রামের অটোরিকশা চালক আল আমিন শিকদারের স্ত্রী।
সাদিয়া আক্তারের স্বামী আল আমিন শিকদার জানান, ইতিপূর্বে সাদিয়াকে চিকিৎসক দেখানোর পর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। পরে ১৪ আগস্ট মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার দুপুরে অপারেশনের (সিজার) মাধ্যমে চার ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। এক সন্তানকে হাসপাতালের বিছানায় মায়ের কাছে দেওয়া হলেও বাকি তিন ছেলেকে নিবিড় পরিচর্যা (আইসিইউ) কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। বর্তমানে মা ও সন্তানরা সুস্থ রয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক প্রফেসর ডা. শাহনেওয়াজ খান তার স্ত্রীর অপারেশন করেন। তবে এখনো সন্তানদের কোনো নাম রাখা হয়নি।
মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালের এজিএম অনিমেষ ভৌমিক জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই গৃহবধূ চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। জন্ম নেওয়া শিশু ও মা সুস্থ রয়েছে। তবে এক সঙ্গে চার সন্তানের জন্ম হওয়ায় শিশুদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম রয়েছে।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে
হাসপাতালে ১৫৩ জন
ম যাযাদি ডেস্ক
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এক দিনে আরও ১৫৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এ সময়ে এডিস মশাবাহিত এ রোগে কারো মৃতু্য হয়নি।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৮ জন, আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ৮৫ জন রোগী।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৭৯ জনের মৃতু্য হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৬ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৫৩ দশমিক ২ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১২ হাজার ৪৯৫ জন। এর মধ্যে ৬১ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৮ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।
বন্যার্তদের সহায়তায়
এক দিনের বেতন
দিল দুই মন্ত্রণালয়
ম যাযাদি রিপোর্ট
দেশের চলমান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ৪৬ লাখ ৬৪ হাজার ৬১ টাকা এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৪৬ লাখ ৬০ হাজার ২৪১ টাকা জমা দিয়েছে। এই অর্থ মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তরগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতন থেকে সংগৃহীত।
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ৪৬ লাখ ৬৪ হাজার ৬১ টাকার মধ্যে সচিবালয় ১ লাখ ১১ হাজার ৮৮০ টাকা, বন অধিদপ্তর ৩৫ লাখ টাকা, পরিবেশ অধিদপ্তর ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৪৫ টাকা, বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন ৩ লাখ ১৫ হাজার ৩০১ টাকা, বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট ৩ লাখ ৩ হাজার ১২২ টাকা, বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়াম ৪০ হাজার ৪৭১ টাকা, বাংলাদেশ রাবার বোর্ড ২০ হাজার ৫৯০ টাকা এবং বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড ৩৭ হাজার ৬৫২ টাকা প্রদান করেছে।
অপরদিকে, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৪৬ লাখ ৬০ হাজার ২৪১ টাকার মধ্যে সচিবালয় ১ লাখ ৪ হাজার ৫০ টাকা, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ৪৩ লাখ টাকা, পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা ৬৭ হাজার ৭১৫ টাকা, হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর ২২ হাজার ২০০ টাকা, নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা এবং যৌথ নদী কমিশন ২১ হাজার ২৭৬ টাকা প্রদান করেছে।