আজকের যায়যায়দিন

সাবেক তিন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, ওবায়দুল হাসান এবং আপিল বিভাগের চার সাবেক বিচারকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করেছেন এক আইনজীবী।

সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই অভিযোগ জমা দেন।

অন্য চার বিচারক হলেন- আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. ইমান আলী, মির্জা হোসেন হায়দার, আবু বকর সিদ্দিকী এবং মো. নুরুজ্জামান।

অভিযোগে বলা হয়েছে, তারা সবাই 'ক্ষমতার অপব্যবহার করে আইনগত এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে অসাংবিধানিকভাবে' আদালত অবমাননা আইন ১৯২৬ 'লংঘন' করে শুনানির সুযোগ না দিয়ে আদালত অবমাননার নামে মো. ইউনুস আলী আকন্দকে শাস্তি দেন।

অনিয়ম-দুর্নীতিতে ডুবছে সামসুল হক স্কুল অ্যান্ড কলেজ

প্রথমে ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর শুনানির সুযোগ না দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে তার মামলা লড়ার সুযোগ স্থগিত করাসহ আদালত অবমাননার রুল জারি করা হয়। এরপর ২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মামলা লড়ার সুযোগ তিন মাসের জন্য স্থগিত করার পাশাপাশি জরিমানা করা হয়।

ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, 'আদালত অবমাননা হলে আদালত অবমাননা আইন ১৯২৬-এর ৩ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে হাইকোর্ট শাস্তি দিতে পারে, কিন্তু আপিল নয়। বার কাউন্সিল আইনের ৩২ ধারায় ট্রাইবু্যনাল আইনজীবীর পেশাগত অসদাচরণ প্রমাণিত হলে পেশা সাসপেন্ড করতে পারে, কিন্তু আপিল নয়। তারা হাইকোর্টে মামলা করলে আমি আপিল বিভাগে যেতে পারতাম। কিন্তু আমাকে সরাসরি আপিল বিভাগে ডেকে নিয়ে কনটেম্পট আদেশ দিয়ে দিলেন। আমার আর আপিল করার কোনো সুযোগ থাকল না।'

কী কারণে ওই সময় তাকে সাজা দেওয়া হয়েছিল, সেই প্রশ্ন করা হলে এই আইনজীবী বলেন, 'এই বিচারপতিরা বিচার বিভাগকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন মর্মে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলাম। ওই কারণে আদালত অবমাননার সাজা দেন আপিল বিভাগ।'