চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন আনসার সদস্যরা। কর্মবিরতির কারণে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত আনসার সদস্যরা কর্মস্থলে আসছেন না। যদিও এর প্রভাব পড়েনি বিমান বন্দরের কার্যক্রমে পড়েনি। তাদের বিকল্প হিসেবে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীর পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনী, ব্যাটালিয়ন আনসার এবং আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যরা। এতে স্বাভাবিক রয়েছে বিমান বন্দরের কার্যক্রম।
শাহ আমানত বিমান বন্দর সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ২০০ আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করতেন। চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে গত ২২ আগস্ট থেকে আনসার সদস্যরা কর্মবিরতি পালন করছেন। আনসার বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে বিমান বন্দরের বাইরের নিরাপত্তার পাশাপাশি এতদিন ভেতরের কম গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্থানের নিরাপত্তার কাজও করা হতো। তাদের কর্মবিরতির কারণে সেখানেও জনবলের ঘাটতি তৈরি হয়। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম বিমান বন্দরের অপারেশন কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে কর্তৃপক্ষ নিজস্ব নিরাপত্তা শাখার কমকর্তা-কর্মচারীদের (এভসেক) রিসিডিউলিংয়ের মাধ্যমে ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে ডাবল শিফটের মাধ্যমে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করিয়ে অপারেশন কার্যক্রম সচল রাখছে। এ ছাড়া ভেতরের নিরাপত্তা ও যাত্রীদের তলস্নাশির সঙ্গে জড়িতদের দায়িত্ব্বে পরিবর্তন আনা হয়েছে। চারজনের স্থলে তিনজনকে দিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল বলেন, বিমান বন্দরের ল্যান্ড সাইড, অ্যাপ্রন এরিয়া ও প্যারামিটার এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্যরা। বিমানবাহিনীর সদস্যরা তিন শিফটে দায়িত্ব্বে পালন করছেন। এ ছাড়া কাজ করছেন ৭৫ ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য এবং এপিবিএন সদস্যরা। বিমান বন্দরের অপারেশন কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন যাত্রীসেবা নিশ্চিত করা হয়েছে।