সরকারকে সময় দিতে চাই, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হলে সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম। তিনি বলেন, অনেকে দাবি-দাওয়া দিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে চাপে ফেলতে চাচ্ছে। আমরা এই সরকারকে একটি যৌক্তিক সময় দিতে চাই। এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নাই।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে আয়োজিত বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রয়াত সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মাহতাবের স্মরণে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অতি অল্প সময়ের মধ্যে আপনারা একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। একটা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। জনগণের প্রতিনিধিদের রাষ্ট্রের দায়িত্বভার গ্রহণ করার সুযোগ করে দিন।
তিনি বলেন, অনেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে ছাত্রদের সরকার বলছে। কিন্তু এ আন্দোলনে সারাদেশের মানুষ জীবন দিয়েছে। এটি বাংলাদেশের জনগণের সরকার। উপদেষ্টারা দয়া করে যে বিপস্নব সংগঠিত হয়েছে, তাকে ধারণ করুন। এখন যে সরকার দায়িত্ব নিয়েছেন। তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হলেও তারা মূলত বিপস্নবী সরকার। ড. ইউনূস বরেণ্য ব্যক্তিত্ব, তার সরকারকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আনসাররা যে কাজ করেছে এটা কোনো আনসারের কাজ নয়। আওয়ামী লীগ সরকার এদের ট্রেনিং দিয়ে আনসারে নিয়োগ দিয়েছে। যেসব অস্ত্র সেনাবাহিনীর কাছে থাকার কথা, সেসব অস্ত্র শেখ হাসিনা মানুষকে দমন করার জন্য পুলিশকে দিয়েছে। মিয়ানমারের বাহিনীরা সীমান্তে এসে মানুষ মেরে চলে যায়। কিন্তু আমাদের বিমান বাহিনীরা কোনো জবাব দেয় না। সেনাবাহিনীকে দিয়ে শুধু ব্রিজ আর বন্যায় ত্রাণ দেয়ার কাজে ব্যবহার করলে হবে না। আমাদের আগ্রাসী কোনো পরিকল্পনা নাই। দেশের মানুষ বিএনপিকে দায়িত্ব দিলে সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনার চেষ্টা করবে।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এখন ভারত সরকারের উচিত, খুনিদের ফেরত পাঠানো। নইলে গণতন্ত্র আসবে কীভাবে? সাধারণ জনগণের অধিকার যেন আর কেউ ক্ষুণ্ন করতে না পারে। সেজন্য দেশের সব মানুষকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। নির্বাচনের দিন প্রধান কমিশনার ঘুমায়, সেই কমিশন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিলুপ্ত করুন।
এ সময় মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো. সেলিম মিঞার সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মৎসজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা।