বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১

আনসারদের যৌক্তিক দাবি বিবেচনায় স্বরাষ্ট্রের কমিটি

যাযাদি ডেস্ক
  ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
আনসারদের যৌক্তিক দাবি বিবেচনায় স্বরাষ্ট্রের কমিটি

চাকরি জাতীয়করণ চেয়ে আন্দোলনে নামা আনসারদের কিছু দাবি 'যৌক্তিক' মেনে নিয়েই তাদের কর্মস্থলে ফিরে কাজে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শনিবার বিকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ দাবির বিষয়ে একটি 'যৌক্তিক সমাধান' হবে।

এই কমিটি দাবি-দাওয়া পর্যালোচনা করে যৌক্তিক সুপারিশ করে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। পরে

আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি সেই সুপারিশ পরীক্ষা করে কর্মপন্থা নির্ধারণ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দেবে।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বর্তী সরকার শপথ নেওয়ার পর বিভিন্ন পেশার মানুষদের নানা দাবি নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে বুধবার মাঠে নামে আনসার সদস্যরা।

আর দৈনিক ভাতার ভিত্তিতে কাজ করতে রাজি নন তারা; চাকরি স্থায়ী করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

আনসার সদস্যরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী দৈনিক ৫৪০ টাকা চুক্তিতে কাজ করেন। বাহিনীর পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের জন্য রেশন সুবিধা বরাদ্দ থাকে।

সারাদেশে আনসারের সংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার। এর মধ্যে প্রায় ৫৫ হাজার সদস্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। বাকি ১৫ হাজার সদস্য 'রেস্ট টাইমে' থাকেন। কোনো প্রতিষ্ঠানের নতুন চাহিদা পেলে কিংবা আগের কোনো প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বরত সদস্যদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে 'রেস্টে' থাকা সদস্যদের পাঠানো হয়। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে বিভিন্ন দায়িত্বেও পাঠানো হয় 'রেস্টে' থাকা সদস্যদের।

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর পর পুলিশবিহীন সড়কে ট্রাফিক সামলানো এবং থানার নিরাপত্তার দায়িত্বে পাঠানো হয়েছিল আনসার সদস্যদের।

আনসারের এই সদস্যদের 'স্বেচ্ছাসেবী' হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় জানিয়ে সদর দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, 'তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া মানেই চাকরি নয়। এটা আমাদের একটা জাতীয় পলিসির অংশ। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য তাদের প্রশিক্ষণটা দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে বাহিনীর পক্ষ থেকে একটা স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়। স্মার্ট কার্ডের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ সফটওয়্যারের মাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠানের চাহিদার প্রেক্ষিতে তাদের বিভিন্ন স্থানে দায়িত্বে পাঠানো হয়।

'এই অটোমেশন প্রক্রিয়ায় চাহিদা জানানো প্রতিষ্ঠানও জানে না কোন সদস্য দায়িত্ব পালন করবে এবং সদস্যরাও আগে থেকে জানেন না যে, তিনি সেখানে দায়িত্বে যাবেন। পর্যায়ক্রমে রোস্টারের ভিত্তিতে তাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়।'

আনসারদের দাবির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা অবহিত হয়েছেন জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'সাধারণ আনসারদের উত্থাপিত দাবি-দাওয়াসমূহ সরকার গভীর মনোযোগ ও সহানুভূতির সঙ্গে পর্যালোচনা করেছে। প্রাথমিকভাবে কিছু দাবি যৌক্তিক প্রতীয়মান হয়েছে।'

সাধারণ আনসার হিসেবে নতুন কোনো নিয়োগ দেওয়া হবে না বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্র্বর্তী সরকার।

তিন বছর চাকরির পর সাধারণ আনসারদের বিশ্রাম না দিয়ে চাকরি অব্যাহত রাখার বিষয়টি পরীক্ষা করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

'মুষ্টিমেয় কয়েকজন উসকানিদাতা' এই সুশৃঙ্খল বাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলেও উলেস্নখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। এতে লেখা হয়েছে, 'সরকার প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দ্বিধা করবে না।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে