মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা সেতুর ৩ নম্বর খুঁটির কাছে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে লক্ষ্ণণ চন্দ্র দাস (৬০) নামক এক বাদ্যকর নিখোঁজ রয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে পদ্মার চরে ঘাস কাটার পর ফেরত আসার সময় পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতে ঘাস ভর্তি ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় নিখোঁজ হন লক্ষ্ণণ চন্দ্র। তার সঙ্গে আরও ৪ জন ছিলেন। পরে এক জেলের সহযোগিতায় বাকি চারজনকে উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন- মন্নাফ সৈয়ল, ইসমাঈল শেখ, ইউসুফ হাওলাদার ও ট্রলার চালক মোকসান। আর লক্ষ্ণণ চন্দ্র দাস উপজেলার কনকসার ইউনিয়নের দক্ষিণ সিংহেরহাটি গ্রামের শুকুমার চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাঁশি ও ঢোল বাজিয়ে থাকেন।
মন্নাফ সৈয়ল জানান, 'সকাল ৯টার দিকে আমরা ৫ জন মিলে পদ্মার চরে ঘাস কাটতে যাই। ঘাস কাটা শেষে দুপুরে বাসার উদ্দেশ্য রওনা হই। পদ্মা সেতুর ৩/৪ নম্বর খুঁটির কাছে গেলে অনেক স্রোতে ট্রলারটি ডুবে যায়। পরে স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় আমরা ৪ জন বেঁচে আসি। তবে লক্ষ্ণণকে আমরা উঠাতে পারিনি। অনেক স্রোত থাকায় ট্রলারও স্রোতের টানে ভেসে যায়।
উদ্ধারকারী জেলে হবি হাওলাদার জানান, 'আমি পদ্মা নদীতে মাছ ধরি। দুপুরের আজানের পরে খাবার খেতে যাওয়ার সময় দূর থেকে দেখি ৪/৫ জন লোকসহ একটি ট্রলার ডুবে যাচ্ছে। পরে দ্রম্নত ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪ জনকে উদ্ধার করি। ট্রলারসহ আরেকজনকে উদ্ধার করতে পারিনি।
উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সুমন আলী জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। এসে প্রাথমিকভাবে ঘটনা জানি। পদ্মায় প্রবল স্রোতে ট্রলার ও লক্ষ্ণণ চন্দ্র দাস নিখোঁজ হন।
তিনি আরও জানান, পদ্মায় প্রবল স্রোত থাকায় যেহেতু ট্রলার ও নিখোঁজ ব্যক্তি ভেসে গিয়েছে তাই ডুবুরি টিমকে পদ্মায় নামানো হয়নি। তবে নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ড পদ্মায় থাকা জেলেদের ব্রিফিং করে দিয়েছে। নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডের টহল টিম তাদের উদ্ধারে সক্রিয় রয়েছে।