কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরে সরকার পতনের দাবিতে সংঘাতের সময় পুড়িয়ে দেওয়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মহাখালী টোলপস্নাজা বৃহস্পতিবার চালু করা হয়েছে। এক মাসের বেশি সময় ধরে এই টোলপস্নাজা বন্ধ ছিল।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ ও পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেডের অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগের ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) হাসিব হাসান খান এ তথ্যের
সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মহাখালী টোলপস্নাজার পাঁচটি বুথের মধ্যে একটি বুথে ম্যানুয়াল প্রক্রিয়ায় টোল নেওয়ার মধ্য দিয়ে রুটটি চালু করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আগের মতো স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি চালু করতে কিছুটা সময় লাগবে।
সংঘর্ষ ও সংঘাত চলাকালে গত ১৮ জুলাই রাতে বনানী ও ১৯ জুলাই বিকালে মহাখালী টোলপস্নাজায় আগুন দেওয়া হয়। এরপর টানা ২৪ দিন বন্ধ থাকার পর ১১ আগস্ট রোববার বিকাল ৩টা থেকে পুড়ে যাওয়া দুটি টোলপস্নাজা বাদে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে স্বাভাবিক টোল কার্যক্রম শুরু হয়।
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) বড় এই প্রকল্পে বাংলাদেশ ছাড়া থাইল্যান্ডের একটি ও চীনের দুটি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ ও নির্মাণকাজের মাধ্যমে অংশীদার। প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো- থাইল্যান্ডভিত্তিক ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড, চীনের শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রম্নপ ও সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছের কাওলা থেকে শুরু হয়ে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে শেষ হবে এই উড়ালসড়ক। পুরো উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। হাতিরঝিল-সংলগ্ন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ শেষ হয়েছে।
\হ