বিদু্যৎ-জ্বালানির দাম নির্ধারণে গণশুনানি কার্যকরের সিদ্ধান্ত

প্রকাশ | ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বিগত বছরগুলোতে কোনো ধরনের গণশুনানি ছাড়াই নির্বাহী আদেশে বিদু্যৎসহ সব ধরনের জ্বালানি পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই দাবি ওঠে গণশুনানির ভিত্তিতে এসব পণ্যের দাম নির্ধারণের। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। নতুন এই অধ্যাদেশ অনুযায়ী, গণশুনানি ছাড়া সরকার বিদু্যৎ ও জ্বালানির দাম নির্ধারণ করবে না। বৃহস্পতিবার জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 'বিদু্যৎ উৎপাদন, গ্যাস ও পেট্রোলিয়ামজাত পদার্থের ব্যবস্থাপনা, ট্যারিফ নির্ধারণ, ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণ ও প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন (২০০৩ সালের ১৩ নম্বর আইন) প্রণীত হয়। পরবর্তী সময়ে ২০০৫, ২০১০, ২০২০ ও ২০২৩ সালে আইনটি সংশোধন করা হয়। ইতোপূর্বে আইনটি সংশোধন করে এর ৩৪ ধারার সঙ্গে ৩৪ক ধারা সংযোজন করা হয়। সেটি হলো ৩৪ক। ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনঃনির্ধারণ বা সমন্বয়ে সরকারের ক্ষমতা। এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে, জনস্বার্থে, কৃষি, শিল্প, সার, ব্যবসা-বাণিজ্য ও গৃহস্থালি কাজের চাহিদা অনুযায়ী এনার্জির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে উহাদের উৎপাদন বৃদ্ধি, সঞ্চালন, পরিবহণ ও বিপণনের নিমিত্ত দ্রম্নত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে বিদু্যৎ উৎপাদন, এনার্জি সঞ্চালন, মজুতকরণ, বিপণন, সরবরাহ, বিতরণ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনঃনির্ধারণ বা সমন্বয় করিতে পারিবে।' বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিদু্যৎ উৎপাদন এবং গ্যাস সম্পদ ও পেট্রোলিয়ামজাত পদার্থের ট্যারিফ বা মূল্য নির্ধারণে গণশুনানির মাধ্যমে জনগণের অধিক সম্পৃক্ততা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সুশাসন, জন প্রত্যাশা ও ভোক্তার স্বার্থ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ এর উপরোক্ত ৩৪ক ধারা বিলুপ্ত করার লক্ষ্যে অধ্যাদেশ জারির বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।