অর্থ পাচার মামলায় খালাস বিএনপি নেতা মোশাররফ
প্রকাশ | ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অর্থ পাচারের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ঢাকার প্রথম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবুল কাশেম বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, 'দশ বছর
এই মিথ্যা মামলার ঘানি টানতে হয়েছে। হেনস্তা হতে হয়েছে। অভিযোগটি যে মিথ্যা ছিল, তা আজ প্রমাণিত হলো।'
দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রম্নয়ারি রমনা মডেল থানায় মোশাররফের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন। ওই বছর ১৪ আগস্ট নাসিম আনোয়ার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলায় মোশাররফের বিচার শুরু করে আদালত। মোট ৯ জনের সাক্ষ্য শুনে বিচারক বৃহস্পতিবার রায় দিলেন।
অভিযোগে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকাকালে খন্দকার মোশাররফ হোসেন 'ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা' পাচার করেছেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, খন্দকার মোশাররফ ও তার স্ত্রী বিলকিস আক্তার হোসেনের যৌথ নামে যুক্তরাজ্যের লয়েড টিএসবি অফশোর প্রাইভেট ব্যাংকে ৮ লাখ ৪ হাজার ১৪২ দশমিক ৪৩ ব্রিটিশ পাউন্ড জমা করেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা।
বৃহস্পতিবার মোশাররফকে খালাসের রায় দিয়ে বিচারক তার পর্যবেক্ষণে বলেন, 'অতি উৎসাহী হয়ে দুদক কর্মকর্তা এ মামলা করেছেন। মামলা করার আগে তার আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। মূল কাগজ দাখিল না করে ফটোকপি দাখিল করেছে দুদক।'
খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবীর মো. বোরহান উদ্দিন ও মোহাম্মদ তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ। দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী আহমেদ আলী সালাম।