বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ফরিদপুরে দুই গ্রম্নপের সংঘর্ষে নিহত এক

ফরিদপুর প্রতিনিধি
  ২২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
ফরিদপুরে দুই গ্রম্নপের সংঘর্ষে নিহত এক

ফরিদপুরে বিএনপির অন্তকোন্দলে দুই গ্রম্নপের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলের নিজ এলাকায় আগমণকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুর নগরকান্দা উপজেলা সদরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্ততপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত দুইজন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শহীদুল ইসলাম বাবুল সমর্থকদের অভিযোগ, উপজেলা সদরে শহীদুল ইসলাম

বাবুলের পথসভা আয়োজন করা হয়। এতে বাধা সৃষ্টি করার জন্য সকাল থেকে অস্ত্রসজ্জিত হয়ে অবস্থান নেয় বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ রিংকুর সমর্থকরা। একপর্যায়ে শহীদুল ইসলাম বাবুলের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পরে আশপাশের এলাকায়। এতে কবির ভুইয়া (৫৫) নামের একজন গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উদ্ধার করে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি উপজেলার ছাগলদি গ্রামের আবুল বসার ভূঁইয়ার ছেলে। সে বিএনপির সমর্থক ছিলেন বলেও জানা গেছে।

এ ছাড়াও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভবুকদিয়া থেকে তালমা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে শহীদুল ইসলাম বাবুলের সমর্থকদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নির্ধারিত পথসভাটি নগরকান্দায় করতে না পেরে পরে তালমা মোড়ে পথসভা করেন। এতে নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি লিয়াকত আলী বুলুর সভাপতিত্বে এ সময় কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন। পরে বিকাল ৫টায় ফরিদপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে প্রাণহানির নির্দেশদাতা হিসেবে শামা ওবায়েদ রিংকুকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, আমার আগমণ উপলক্ষে শামা ওবায়েদ বাড়িতে বসে পরিকল্পনা করেন, আমাকে এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। যার প্রমাণ আজকের ঘটনা। এলাকায় ঢোকার পরই পথে পথে বাধা সৃষ্টি করা হয়, অসংখ্য গাড়ি ভাঙচুর করা হয়, নেতাকর্মীদের মারধর করা হয় এবং নগরকান্দায় একজন মারা যায়।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ রিংকু অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, নব্য বিএনপি এই হামলা করেছে, তবে এটা খুবই দুঃখজনক। নগরকান্দায় আমার দল বলতে কিছুই নেই, সবাই বিএনপি। তবে এতে একজনের প্রাণহানিতে আমি মর্মাহত। এ জন্য যা করার দরকার, তাই করা হবে।

দলীয় অন্তকোন্দল নিয়ে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব একে কিবরিয়া স্বপন বলেন, এসব ঘটনার জন্য যেই দায়ী থাকুক, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে মনে করি।

নগরকান্দা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, বিএনপির দুই গ্রম্নপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে