বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকবে চীন

দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

প্রকাশ | ২২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বুধবার সকালে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন -ফোকাস বাংলা
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। বুধবার সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মনি ও আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। দেড় ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠকে বাংলাদেশের চলমান রাজনীতি-অর্থনীতিসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন তারা। একইসঙ্গে চীন বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকারসহ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অভিনন্দন জানান ইয়াও ওয়েন। বৈঠক শেষে ওয়েনকে সঙ্গে নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, 'তারা (চীন) মনে করে যে, বিএনপির সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সম্পর্ক দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হবে। বাংলাদেশে চীনের যে বিনিয়োগ জনগণের উন্নয়নের জন্য, দেশের উন্নয়নের সেটা আরও বৃদ্ধি পাবে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সস্পর্ক গভীর থেকে গভীর হবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ওয়ান চায়না পলিসিতে বিএনপি সবসময় বিশ্বাস করে এসেছে, আমরা এখনো সেই ঘোষণাটা আরও দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই।' মির্জা ফখরুল বলেন, 'ছাত্র-জনতার বিপস্নবের পরে চীনের রাষ্ট্রদূতের, বিএনপি চেয়ারপারসনের অফিসে আসাটা আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি। আমরা মনে করি যে, বাংলাদেশের জনগণের প্রতি চীনের যে প্রতিশ্রম্নতি, উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে পাশে থাকবে। একই সঙ্গে তারা স্পষ্ট করে বলেছেন যে, তারা (চীন) আধিপত্যবাদে বিশ্বাস করেন না।' তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশের জনগণের প্রতি যে প্রতিশ্রম্নতি চীন আগেও দিয়েছে, তা এখনো দিচ্ছেন। একই সঙ্গে চীন সারাবিশ্বে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন, সেটাকেও অভিনন্দন জানিয়েছি। বিশেষ করে অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে চীন যেভাবে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করছে, সেটার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি।' ইয়াও ওয়েন বলেন, বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বড় সুযোগ হয়েছে, ভালো আলোচনা হয়েছে। চীনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি ও বিএনপি এক সঙ্গে কাজ করতে চায়। এই সম্পর্ককে আরও নিবিড় ও সুদৃঢ় করে আমরা কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চীন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না। বাংলাদেশ স্থিতিশীল হবে, উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ণ সমর্থন এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের সম্পৃক্ততার কথাও বলেন চীনের রাষ্ট্রদূত। চীনা রাষ্ট্রদূত প্রত্যাশা করেন- অল্পকিছু দিনেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। সূত্র জানায়, দেশে চীনা অর্থায়নে পরিচালিত চলমান প্রকল্পগুলোর ভবিষ্যৎ ও বন্ধ থাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিষয়টিও বৈঠকে আলোচনায় এসেছে।