এবি পার্টিকে নিবন্ধন
দিতে ইসিকে নির্দেশ
ম যাযাদি রিপোর্ট
রাজনৈতিক দল হিসেবে আমার বাংলাদেশ পার্টিকে (এবি পার্টি) অবিলম্বে নিবন্ধন
\হদিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি
নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত
হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ
সোমবার এ রায় দেন।
এবি পার্টির নিবন্ধনের আবেদন খারিজ করে গত বছরের ২৪ জুলাই নির্বাচন কমিশন চিঠি দেয়। এই চিঠির বৈধতা নিয়ে দলটির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী একই
বছরের ২৩ আগস্ট রিটটি করেন।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ৩১ আগস্ট হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে রাজনৈতিক দল হিসেবে এবি পার্টিকে নিবন্ধন দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি এবি পার্টিকে নিবন্ধন না
দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত
কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা-ও
জানতে চাওয়া হয় রুলে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব ও উপসচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করে রায় দেন আদালত।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তাজুল ইসলাম (এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক)। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আবদুলস্নাহ আল মামুন রানা ও যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া।
এক মাস পর সচল
বিআরটিএ সার্ভার
সেবাদান শুরু
ম যাযাদি রিপোর্ট
এক মাস পর সার্ভার সচল হওয়ায় সব ধরনের সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ, বিআরটিএ। সোমবার এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বিআরটিএ বলেছে, বিআরটিএ ভবনে স্থাপিত সার্ভার ও আইএস সচল হওয়ায় মোটরযান রেজিস্ট্রেশন, মালিকানা বদল, ফিটনেস, ট্যাক্স-টোকেন ও রুট-পারমিট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন বা হালনাগাদ, ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পরীক্ষা, অগ্রিম আয়কর দেওয়া ইত্যাদি সব সেবা কার্যক্রম চালু হয়েছে।
যারা এসব কাজ করাতে না পেরে সমস্যায় ছিলেন, তাদের দ্রম্নত বিআরটিএ সার্কেল অফিস থেকে সংশ্লিষ্ট সেবা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান গৌতম কুমার সাহা বলেন, 'কালই আমাদের সার্ভার সচল
হয়েছে। কাল সেবাদান কার্যক্রমে কোনো অসুবিধা হয়নি। তাই আজ সারাদেশে
পুরোদমে কাজ হচ্ছে। আজ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়েছে।'
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সারাদেশে কমপিস্নট শাটডাউন চলার সময় গত ১৮ জুলাই বনানীতে বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। সেদিন মিরপুরে বিআরটিএর ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়, ঢাকা উত্তর সার্কেল কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়।
পরদিন বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ে ফের হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে
দেওয়া হয়। তাতে বিআরটিএর কেন্দ্রীয় ডেটাসেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পরদিন হামলাকারীদের আগুনে পুড়ে যায়
মিরপুর কার্যালয়ের ভিআইসি (ভেহিক্যাল ইন্সপেকশন সেন্টার)। এরপর থেকে সারাদেশে বিআরটিএর সেবা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
এ পরিস্থিতিতে নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স,
গাড়ির নিবন্ধন, রুট পারমিট দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। মালিকানা পরিবর্তন, ফিটনেস, অগ্রিম আয়কর প্রদান কার্যক্রমও আটকে যায়। তাতে বিপাকে পড়ে মানুষ।