সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং স্থানীয় কাউন্সিলর তৈমুর রেজা খোকনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ঢাকার হাতিরঝিল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মাসিক হারে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন ঢাকার মধুবাগের 'উত্তরণ সমাজ কল্যাণ সমিতি'-র সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রোববার দায়ের করা ওই অভিযোগে উলেস্নখ করা হয়, সমিতিটি একটি জনকল্যাণমূলক সংগঠন। সমিতিটির মাধ্যমে নিয়োগকৃত জনবলের মাধ্যমে ওই আবাসিক এলাকার বাসাবাড়ির ময়লা অপসারণ ও রাত্রীকালীন পাহারা নিশ্চিত করা হয়। দীর্ঘ দিন ধরে এমন সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে সমিতিটি। চলতি বছরের ৫ ফেব্রম্নয়ারি সমিতির নিয়োগকৃত ময়লা অপসারণকারী আব্দুর রাজ্জাককে কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তি এলাকার শহীদ সেলিম স্কুলের সামনে মারধর করে। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন সেখানে উপস্থিত হয়। এ সময় মারধরকারীরা দাবি করেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুর রহমান ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৈমুর রেজা খোকন মাসিক পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে 'সোহেল এন্টারপ্রাইজ' কে অত্র এলাকার ময়লা অপসারণ করার কাজ দিয়েছেন। তাই এসব কাজ অন্য কেউ বা কোন সমিতি করতে পারবে না। 'উত্তরণ সমাজ কল্যাণ সমিতি' বা সমিতির পক্ষে আব্দুর রাজ্জাক এসব কাজ করতে হলে স্থানীয় কাউন্সিলরের মাধ্যমে মেয়র ও এমপিকে মাসিক ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে প্রায় এক সপ্তাহ ময়লা অপসারণ বন্ধ ছিল। এ ব্যাপারে অভিযোগকারী বেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া স্থানীয় কাউন্সিলরের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তাকে ফোনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একই সঙ্গে এমপি ও মেয়রের নির্দেশ মোতাবেক ৫০ হাজার টাকা না দিলে ময়লা অপসারণ করতে দেওয়া হবে না বলে জানান। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে বেলাল উদ্দিনকে প্রাণনাশের হুমকি দেন কাউন্সিলর। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, এমন ঘটনার পর থেকেই চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত সোহেল এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. সোহেল সমিতির সদস্যদের জন্য নির্ধারিত ফি-র টাকা এবং ফান্ড থেকে চার মাসে দুই লাখ টাকা নেয়। এমন অবৈধ কাজে সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মচারী কোহিনূর ও কাউন্সিলরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. শিবলীকে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে হাতিরঝিল থানার ওসির দায়িত্ব পালনকারী থানাটির পরিদর্শক (তদন্ত) শরীফ মিয়াজী যায়যায়দিনকে বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।