চট্টগ্রামে বৃষ্টিতে ফের ডুবেছে নিচু এলাকা
প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
চট্টগ্রাম বু্যরো
বাংলা পঞ্জিকার হিসাবে বর্ষা বিদায় নিলেও এখনো মুষুলধারে বৃষ্টি ঝরছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। এই বৃষ্টির কারণে ফের ডুবেছে চট্টগ্রাম নগরের নিচু এলাকা। গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে সোমবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত কখনো মুষুলধারে আবার কখনো হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ঝরতে থাকে। আর তাতেই তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন নিচু এলাকা।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, সোমবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১২২ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামে। এরমধ্যে সোমবার ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগের দিন রোববার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৩৩ দশমিক ৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। তার শনিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ১০২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস। যদিও রোববার দিনে থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও রাত ১১টার পর মূলত বেশি বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির এই ধারা সোমবার দিনের বাকি সময় এবং মঙ্গলবার ও বুধবার সারাদিন থাকতে পারে। এ সময় থেমে থেমে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্র অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার আভাস রয়েছে।
এদিকে, বৃষ্টিপাতের কারণে নগরের মোহাম্মদপুর, মুরাদপুর, পাঁচলাইশ, কাতালগঞ্জ, চকবাজার, মুরাদপুর, শোলকবহর, ২ নম্বর গেট, বাকলিয়া ও আগ্রাবাদসহ নিচু এলাকার বেশিরভাগ সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার কোনো কোনো সড়কে কোমর সমান পানি জমেছে।
নগরের কাতালগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা লাবিবুর আহমেদ বলেন, কাতালগঞ্জ থেকে চকবাজার হয়ে আমার থেকে অফিসে যেতে হয়। কিন্তু বৃষ্টি হলেই বাসার আশপাশ এলাকার সড়ক ডুবে যায়। আজকেও (সোমবার) একই অবস্থা। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অটোরিকশা নিয়ে চলাচল করতে হয়েছে।
নগরের চকবাজার এলাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মরত মো. হাবিব রহমান বলেন, জরুরি কাজে আমার বের হতে হয়েছিল, কিন্তু চকবাজার থেকে এক্সেস রোডে শিশু কবরস্থান এলাকার বাসায় আসতে নিয়মিত ভাড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকা হলেও ৫০ টাকা দাবি করেন রিকশাচালক। বৃষ্টির জন্য তাদের বাড়তি ভাড়া দিয়ে বাসায় আসতে হয়েছে। কারণ বৃষ্টি হলে গণপরিবহণ চলাচল কমে যায়।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা জহিরুল হক বলেন, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। যে কারণে কমপক্ষে আরও দুইদিন এমন ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে সেই সাথে কোথাও কোথাও পাহাড় ধসেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
উলেস্নখ্য, চলতি মাসের শুরু থেকেই বন্দর নগরী চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাত বেড়েছে। এর আগে মাসের শুরুতে (১ আগস্ট) টানা বৃষ্টিতে নগরের নিচু এলাকা ডুবে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। সেসময় ১৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস।