আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনালের সামনে বন্দিদের স্বজনরা
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কারাগারে থাকা আসামিদের মুক্তির দাবিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনালের সামনে মানববন্ধন হয়েছে।
রোববার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনালের সামনে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজনসহ অন্তত তিনশ' নারী-পুরুষ অংশ নেন।
এরপর তারা অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা তার স্বৈরশাসনকে দীর্ঘায়িত করতে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে নিরপরাধ ব্যক্তিদের মিথ্যা মামলা দিয়ে বন্দি করেছে।
তারা অবিলম্বে 'কথিত মানবতাবিরোধী' মামলা প্রত্যাহার করে কারাবন্দি সবার মুক্তি দাবি করেন।
মানববন্ধন শেষে আইন উপদেষ্টা বরাবর আসামিদের মুক্তির দাবিতে স্মারকলিপিতে আসামিদের পরিবারের সদস্যদের পক্ষে স্বাক্ষর করেন যুদ্ধাপরাধ মামলায় গ্রেপ্তার এক
আসামির ছেলে হাফিজ উদ্দিন।
অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ
মানববন্ধন শেষে তারা অ্যাটর্নি জেনারেলের
সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আইন উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিতে চান।
তখন অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেন, তিনি এই স্মারকলিপি নিতে পারেন না। বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয়ের। আইন মন্ত্রণালয় থেকে তার পরামর্শ চাইলে তিনি পরামর্শ দিতে পারেন।
আসাদুজ্জামান আন্দোলনকারীদের আইন উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের পরামর্শ দেন।
পাবিপ্রবি ছাত্রলীগ
কর্মীকে ছুরিকাঘাত
ম পাবনা প্রতিনিধি
দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের এক কর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্রলীগ কর্মীর নাম জামিউল ইসলাম হিমেল (২৪)। তিনি ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিই) বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেহজাদ হাসানের অনুসারী ছিলেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে তিনি হল থেকে খাবার খেতে ক্যাম্পাস গেটে যান। এ সময় একজন ছেলে এসে তাকে ফরিদা টাওয়ারের দিকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর ওই ছেলের সঙ্গে আরও তিনজন ছেলে যোগ দেন। পরে ফরিদা টাওয়ারের সামনে নিয়ে তার হাতে এবং পায়ে ছুরিকাঘাত করে। ছুরিকাঘাতে আহত হলে তার সহপাঠীরা এসে প্রথমে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করায়, পরে মেডিকেল সেন্টারের ডাক্তাররা তাকে সহপাঠীদের পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। এরপর তার সহপাঠীরা তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।
ছাত্রলীগ কর্মী জামিউল ইসলাম হিমেল বলেন, 'আমি ছাত্রলীগ করতাম তা ঠিক; কিন্তু কারো সঙ্গে আমার দ্বন্দ্ব ছিল না। এরপরও কেন আমাকে ছুরিকাঘাত করল বলতে পারছি না। ছাত্রলীগ করার কারণে এটা হয়েছে কিনা সেটাও বলতে পারছি না।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মাসুদ রানা বলেন, 'সকালে আমাদের একজন শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করেছে বলে শুনেছি। পরে আমি ওকে দেখতে যাই। ওকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করানো হয়। পরে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সে লিখিত অভিযোগ করলে ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত ছিল আমরা খুঁজে বের করতে চেষ্টা করব।'