বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মা-ভাই ও ভাগনিকে গলা কেটে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার

লক্ষ্ণীপুরের রামগতি পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা
্বরামগতি (লক্ষ্ণীপুর) প্রতিনিধি
  ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
মা-ভাই ও ভাগনিকে গলা কেটে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার

পারিবারিক কলহের জের ধরে লক্ষ্ণীপুরের রামগতিতে সৎ মা, ভাই ও ভাগনিকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম তারেক (২৮)। রোববার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার চর পোড়াগাছা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সিডু মিস্ত্রির বাড়িতে ওই খুনের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- নাছির আহমেদের (সিডু মিস্ত্রি) স্ত্রী ও অভিযুক্ত তারেকের সৎ মা ছকিনা বেগম (৪২), তারেকের ভাই মাহিম (৬) এবং ভাগনি ফারিয়া আক্তার (৪)।

এ ঘটনায় ছকিনা বেগমের বড় ছেলে মো. নাজিম উদ্দিন সোহাগ রাতেই রামগতি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় তারেককে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তারেক।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নাছির আহমেদ (সিডু মিস্ত্রি) ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিন উপজেলায় বিয়ে করেন। ওই সংসারে চার ছেলে রয়েছে। পরে তিনি নিজের জেলা লক্ষ্ণীপুরের রামগতিতে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই সংসারে কলহের সৃষ্টি হয়। তার প্রথম স্ত্রী ভোলা জেলা আদালতে একটি মামলাও করেছিলেন। ওই মামলায় তিনি এক মাস কারাভোগ করেন। তবে মাঝে মধ্যে তার প্রথম স্ত্রী ও ছেলেরা রামগতির বাড়িতে বেড়াতে যান। এ নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে কলহ বাড়তে থাকে। প্রথম স্ত্রীর ছেলে মো. তারেক ঘটনার দুই দিন আগে রামগতিতে বাবার বাড়িতে আসেন। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘরের মধ্যেই তিনি তার সৎ ভাই ও ভাগনিকে গলা কেটে হত্যা করেন। সে সময় সৎ মা ঘরে ছিলেন না। পরে ঘরে আসা মাত্রই মাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করেন। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে তারেক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় তারেককে ধরে ফেলেন। তবে ঘটনার সময় সিডু মিস্ত্রি বাড়িতে ছিলেন না। তিনি বাড়িতে এসে খুনের ঘটনা দেখে শোকে বাক্‌রুদ্ধ হয়ে পড়েন।

খবর পেয়ে রামগতি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে স্থানীয় জনতা তারেককে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন খুনের ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহ তারেককে আটক করা হয়। পরে তাকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে নিহতের ছেলে নাজিম উদ্দিন সোহাগ হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রোববার সকালে তারেককে আদালতে সোপর্দ করা হয়। রাতেই লাশের ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্ণীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে