বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে দন্ডিত ৫৭ জনসহ অন্য দেশে আটকদের মুক্তির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।
ফাউন্ডেশন ফর ল' অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) চেয়ারপারসন সিনিয়র অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ রোববার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
গণমাধ্যমের খবর অনুসারে বাংলাদেশে আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ওই বিক্ষোভ করেন।
পরে আবুধাবির ফেডারেল কোর্ট অব আপিল ৫৭ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেন। তাদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর ও বাকি একজনকে ১১ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। কারাদন্ডের মেয়াদ শেষে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুমতি ছাড়া যে কোনো ধরনের বিক্ষোভ নিষিদ্ধ।
আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ বলেন, তখন (দূতাবাসের) দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা দুবাইয়ের কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন এরা সন্ত্রাসী, (প্রবাসী আন্দোলনকারীরা) এরা স্বাধীনতাবিরোধী, এদের অ্যারেস্ট করলে ওনাদের আপত্তি নেই। যার কারণে কোনো প্রকার আইনগত সহায়তা দেয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যেক অ্যাম্বেসিতে চিঠি দিয়েছে এদের (আন্দোলকারীদের) চুপ করাতে হবে, শাস্তি দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদষ্টোসহ পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছি। ওনারা যেন রেমিট্যান্স যোদ্ধা নিয়ে ব্যবস্থা নেন। আমরা দেশ থেকে লিগ্যাল সাপোর্ট দেব।
ফাওজিয়া করিম ফিরোজ বলেন, দুবাইর যিনি কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন। উনি কিন্তু সবচাইতে দায়ী ব্যক্তি যিনি এ ৫৭ জনের দন্ডের জন্য দায়ী। কোনো ধরনের লিগ্যাল সাপোর্ট দেননি। উনি ওদের (আন্দোলনকারীদের) স্বাধীনতাবিরোধী বলেছেন। এটা খুব ফেভারিট ডায়ালগ ছিল। স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত শিবির, যদি দ্বিমত পোষণ করত তখন আপনি হয়ে যেতেন আরেক দলের ব্যক্তি। আপনি স্বাধীনতাবিরোধী। যখন মানবাধিকার কমিশনে ছিলাম তখন এ কথা আমি নিজেও শুনেছি।
তিনি বলেন, শুধু ৫৭ জনই নয়। আরও অধিক লোকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেকে জানেন না ট্রেস লেস হয়ে গেছে। শুধু আমিরাতে নয়, অন্য দেশেও হয়েছে। আমাদের কাছে কিছু আত্মীয়স্বজন এসেছেন। যারা ৫৭ জনের মধ্যে পড়ছেন না।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা সব ধরনের সহায়তা দেব। আমরা দুবাইতে স্বেচ্ছায় একটি চেষ্টা করছি। সরকার তার ব্যবস্থা অবিলম্বে নিতে হবে।'