কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসে কক্সবাজারের পেকুয়ায় একই পরিবারের তিনজনের মৃতু্য হয়েছে।
রোববার ভোরে উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের সেগুনবাগিচা ঢালারমুখ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জারুলবুনিয়া সেগুন বাগিচাস্থ ঢালারমুখ এলাকার বাসিন্দা দুবাই প্রবাসী সরওয়ার কামালের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৪০), মেয়ে ময়না (১২) ও নাতি তোহা (৮)।
খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিস টিম ঘটনাস্থল থেকে নিহত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের স্বজন আব্দুলস্নাহ জানান, প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতেও ঘুমে ছিলেন নিহতরা। ভোর রাতের দিকে হঠাৎ পাহাড় ধস হলে কংক্রিটের দেয়াল ভেঙে তাদের ওপরে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃতু্য হয়। পরে স্থানীয়রা চাপা পড়া অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করে।
নিহত মমতাজ বেগমের ছেলে মুবিনুল ইসলাম জানান, তিনি চট্টগ্রামে একটি দোকানে চাকরি করেন। সকালে স্বজনরা জানালে তিনি বাড়িতে এসে তিনজনের লাশ দেখতে পান। নিহতের মধ্যে মা, বোন ও ভাগনে রয়েছে বলে জানান।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, সকালে শিলখালী পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিনজনের মৃতু্যর খবর পেয়ে পুলিশে পাঠানো হয়েছে।
পেকুয়া উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর পেয়েরা বেগম বলেন,
স্থানীয় চেয়ারম্যান আমাকে অবগত করার পর ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পেয়ে মর্মাহত হলাম? আমরা বারবার বলেছি, ভারী বর্ষণে পাহাড়ের পাশে বসবাসকারীরা যেন সরে যান। যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারের পাশে উপজেলা প্রশাসন সহায়তা করে যাবে।
রাঙামাটি-বান্দরবান সড়কে
ধস, যোগাযোগ বন্ধ
এদিকে, গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার বড়ইছড়ি-ঘাগড়া সড়কের কুকিমারা এলাকায় সড়কের মাটি ধসে বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল।
শনিবার বিকাল থেকে রাঙামাটি জেলার সঙ্গে বান্দরবান জেলার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
রোববার সকাল থেকেই সড়ক সংস্কারে নেমেছে রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)।
সওজ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, রোববার সকাল থেকে মাটি ভরাট করে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন জানান, সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় আপাতত বড়ইছড়ি-ঘাগড়া সড়কে যান চলাচল বন্ধ আছে। রোববার সড়কটি সংস্কার করছে সওজ। সড়ক মেরামত শেষ হলে আবারও যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।