বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

'এক দফা এক দাবি, রেজাল্ট নিয়ে ফিরব বাড়ি' ফলপ্রত্যাশীদের স্স্নোগান

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদের ফলাফলের দাবিতে রোববার সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সামনে এক দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করেন ফলপ্রত্যাশীরা -ফোকাস বাংলা

জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদের ফলাফলের দাবিতে সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সামনে এক দফা দাবি নিয়ে রোববার বিক্ষোভ করেছেন ফলপ্রত্যাশী। 'রেজাল্ট চাই রেজাল্ট চাই, আজকেই রেজাল্ট চাই', 'এক দফা এক দাবি, রেজাল্ট নিয়ে ফিরব বাড়ি'- এসব স্স্নোগান দিচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এসব দাবিসংবলিত পস্ন্যাকার্ড হাতে পিএসসির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন ফলপ্রত্যাশীরা।

পিএসসির এক কর্মকর্তা বলেন, 'ফল রেডি হচ্ছে। কোটা বদল হয়েছে। সেই অনুসারে সফটওয়্যার কমান্ড বদলাতে হবে। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টরের ৪৪ ক্যাটাগরির পদে একেকজন চার থেকে পাঁচটা পদে ভাইভা দিয়েছেন। সাত হাজারের বেশি প্রার্থী ভাইভা দিয়েছেন। এতজনের তথ্য বিশ্লেষণের কাজ আছে। এগুলো করতে কিছুটা সময় লাগবে। আমরা আন্দোলনকারীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানাই।'

এদিকে ১১ আগস্ট থেকেই পিএসসির সামনে অবস্থান নেন জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর ফলপ্রত্যাশীরা। তারা জানান, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত তারা পিএসসির সামনে থেকে যাবেন না। ফলপ্রত্যাশীদের দাবি, বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মনোটেকনিক ও টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজগুলোর শিক্ষকসংকট নিরসনে 'জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক)' পদের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। এ দাবিতেই তাদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি। মানববন্ধনে বলা হয়, তাদের এক দফা দাবি, অবিলম্বে ফলাফল প্রকাশিত না হলে পিএসসির সামনে তারা অনশনে বসাসহ আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।

ওইদিন জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর ফলপ্রত্যাশীদের সমন্বয়ক মো. ইমরান হোসেন বলেন, মৌখিক পরীক্ষায় মোট ৭ হাজার ৪০০ প্রার্থী ৩ হাজার ৮৭ পদের বিপরীতে অংশ নেন। মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে পলিটেকনিক ও টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৩ ও ১৫তম গ্রেডভুক্ত ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর আদালতে একটি অবৈধ রিট পিটিশন করেন, যেখানে তারা নিয়মবহির্ভূত দশম গ্রেড জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে পদোন্নতি দাবি করেন, যা ২০২০ সালের প্রজ্ঞাপনের ক্যাডার, নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। মহামান্য হাইকোর্ট মামলায় রুল ইসু্য না করে বাদীদের করা আবেদন (অ্যানেক্স-আই) ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আদেশ প্রদান করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্যাডারবহির্ভূত গেজেটেড ও নন-গেজেটেড (কর্মকর্তা-কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ মোতাবেক ১৩ ও ১৫তম গ্রেডভুক্ত ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর (সপ/টিআর) পদ থেকে ১০ম গ্রেডভুক্ত জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক/নন-টেক) পদে পদোন্নতির সুযোগ নেই মর্মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আবেদনটি নিষ্পত্তি করেন।

তা সত্ত্বেও ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে আবার রিট পিটিশন করলে মহামান্য হাইকোর্ট নিয়োগপ্রক্রিয়ার ওপর ছয় মাসের স্থগিত আদেশ প্রদান করেন। ফলে শিক্ষক নিয়োগের সব ধাপ সম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও অবৈধ মামলার কারণে চূড়ান্ত ফল প্রকাশে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছিল।

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় রিটের বিপক্ষে আপিল করলে মহামান্য আদালত শুনানির দিন ধার্য করেন এবং স্থগিতাদেশের ওপর আট সপ্তাহের জন্য অর্ডারটি স্থগিত করেন।

যার ফলে বাংলাদেশ কর্মকমিশনের মাধ্যমে চূড়ান্ত ফল প্রকাশে আইনি আর কোনো বাধা থাকে না।

ভ্যাকেট সময়ের চার সপ্তাহ অতিবাহিত হয়ে গেলেও ফল দীর্ঘায়িত করার বিরুদ্ধে এবং অবিলম্বে ফল প্রকাশের দাবিতে 'জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক) পদের ফলপ্রত্যাশীরা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন এবং অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসি কর্মকর্তারা বলেছিলেন, 'পিএসসিতে একটি সভা হয়েছে। এটি অফিসিয়াল কোনো সভা নয়। নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে চেয়ারম্যান কমিশনের সদস্যদের নিয়ে বসেছিলেন। কোনো বড় সিদ্ধান্ত হয়নি। পিএসসি থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা আশ্বস্ত হয়ে ফিরে গেছেন।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে