প্রভু হওয়ার চেষ্টা করবেন না : ভারতকে হাফিজ

প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দীন আহমেদ -সংগৃহীত
বিএনপি ক্ষমতায় এলে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, 'ভারত যদি বন্ধু হয়ে থাকে তবে শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে। ভারত মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছে, আমরা কৃতজ্ঞ। তবে আপনারা প্রভু হওয়ার চেষ্টা করবেন না।' শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পুলিশের মৃতু্যর জন্য শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন মেজর হাফিজ। জনগণের পুলিশ বাহিনী গড়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি। মেজর হাফিজ বলেন, 'শেখ হাসিনা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘাতক। দেশে ফিরিয়ে এনে তার বিচার করতে হবে।' বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়া প্রসঙ্গে দলটির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, 'আশা করছি, খালেদা জিয়াকে আমরা বিদেশে পাঠাতে পারব। তিনি সুস্থ হয়ে দেশে এসে আগামীতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।' অতি দ্রম্নত স্পেশাল ট্রাইবু্যনাল গঠন করে বিডিআর বিদ্রোহের মামলার বিচার কাজ সম্পাদনের দাবি জানান মেজর হাফিজ। এদিকে দেশে গণহত্যা ও নির্যাতনের দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। একই দাবি করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। জয়নুল আবদিন বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকর করা গেলে শেখ হাসিনাকেও বন্দিচুক্তির মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে গণহত্যা-নির্যাতনের দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানাই।' নুরুল হক নুর বলেন, 'ছাত্রলীগ-যুবলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হোক। তাদেরসহ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের আহ্বান জানাচ্ছি।' রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করে তিনি বলেন, 'ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিতে হবে।' আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। এ সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ বাতিল, আন্দোলনে শহীদের রাষ্ট্রীয় বীর ঘোষণা, আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনসহ ছয় দফা দাবি জানানো হয়।