সংবাদ সংক্ষেপ
প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৫০ জন
\হযাযাদি ডেস্ক
এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত এক দিনে সারাদেশে কারো মৃতু্য হয়নি। তবে এই সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে
ভর্তি হয়েছেন ৫০ জন।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে
পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস
বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আক্রান্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ছয়জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ২০ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের
বাইরে) তিনজন রয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে মোট ৩০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরে মোট আট হাজার পাঁচজন
ছাড়পত্র পেয়েছেন।
চলতি বছরের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন আট হাজার ৯৮০ জন। এর মধ্যে ৬০.৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৯.২
শতাংশ মহিলা রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃতু্য হয়নি, চলতি বছরের এ যাবত ডেঙ্গুতে মোট মৃতু্যবরণ করেছেন ৭৪ জন।
২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃতু্য হয়। পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ
২১ হাজার ১৭৯ জন।
ঢামেক মর্গে পাঁচজনের
মরদেহ, শনাক্ত তিন
ম যাযাদি রিপোর্ট
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় নিহত আরও এক ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তার নাম জসিম উদ্দিন সরকার (৩২)। তিনি উত্তরার আজমপুর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।
শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে জসিমের মরদেহ শনাক্ত করেন তার স্ত্রী বানেসা বেগম। তিনি বলেন, জসিম উদ্দিন আমার স্বামী।
তিনি আরও বলেন, জসিমের বাড়ি জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার নয়ানগর গ্রামে। বর্তমানে এক মেয়ে নিয়ে উত্তরখান ময়নারটেক এলাকায় থাকেন। তিনি অটোরিকশা চালক ছিলেন। গত ৫ আগস্ট দুপুরে বাসা থেকে বের হয়ে আর বাসায় আসেননি। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, তার স্বামী জসিম আরও একটি বিয়ে করেছেন। তার ছোট স্ত্রী নারায়ণগঞ্জে থাকেন। আমরা ভেবেছিলাম জসিম তার ছোট স্ত্রীর কাছে আছেন। ফোনও বন্ধ ছিল। পরে জানতে পারি জসিম ছোট স্ত্রীর কাছে নেই। গত ১৩ আগস্ট জসিমের ফোনে আবার ফোন দিলে অপর প্রান্ত থেকে এক ব্যক্তি কলটি রিসিভ করেন। এবং তিনি বলেন আমরা অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু ফোনে কেউ তাকে চিনতে পারছিল না। উত্তরা আজমপুর এলাকায় বুকের বাঁ পাশে গুলিবিদ্ধ হন জসিম। তখন তাকে একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। পরে ওই ক্লিনিকে গিয়ে খোঁজ করে জানতে পারি জসিম মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে আছেন। আজ (শুক্রবার) সকালে মর্গে এসে স্বামী জসিমের মরদেহ পাই। তার গায়ে লাল
শার্ট, ও নেভিবস্নু জিন্স প্যান্ট ও চেহারাও
কিছুটা বোঝা যাচ্ছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের ইনচার্জ রামু চন্দ্র দাস জানান, সহিংসতার ঘটনায় আজকে একটি মরদেহ শনাক্ত হয়েছে। গতকাল আল মামুন আমানতসহ (৩২) দুটি মরদেহ শনাক্ত করে নিয়ে গেছে। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়নি
এমন পাঁচটি মরদেহ মর্গে রয়েছে।