চট্টগ্রামে বহুল আলোচিত মিতু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের জামিন আদেশের জন্য ১৮ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত। বুধবার চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে ১৮ পৃষ্ঠার জামিন আবেদন করা হলে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিটের উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদেশের জন্য নতুন তারিখ ঘোষণা করেন।
বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, 'আমরা এসপি বাবুল আক্তারের পক্ষে জামিন আবেদন করেছি। আদালত উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনেছেন। আমরা আমাদের যুক্তি উপস্থাপন করেছি। দীর্ঘ শুনানি শেষে তার জামিনের বিষয়ে আগামী আগস্টের ১৮ তারিখ আদেশের দিন ধার্য করেছে আদালত।'
এর আগে ৮ আগস্ট এই আদালতে বাবুলের পক্ষে জামিনের জন্য বিশেষ দরখাস্ত দেওয়া হয়। আদালত সেদিন জামিন নামঞ্জুর করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানার জিইসি মোড়ের ওআর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত সংস্থা পুলিশ বু্যরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ৭ জনকে আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। এতে মামলার বাদী বাবুল আক্তারকেই প্রধান আসামি করা হয়।
অভিযোগপত্রে আরও যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু এবং শাহজাহান মিয়া। আসামিদের মধ্যে শুধু মুসা পলাতক আছেন বলে অভিযোগপত্রে উলেস্নখ আছে।
ওই বছরের ১০ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ২০২৩ সালের ১৩ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ওই বছরের ৯ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষী হিসেবে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন সাক্ষ্য দেন। এ পর্যন্ত ৯১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫২ জনের সাক্ষ্য সম্পন্ন হয়েছে।