র্যাবের নাম পরিবর্তনসহ একগুচ্ছ দাবি গণঅধিকার পরিষর্দেরযাবের নাম পরিবর্তনসহ একগুচ্ছ দাবি গণঅধিকার পরিষদের

ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ,র্ যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের র্(যাব) নাম পরিবর্তন, সারা দেশের এসপি-ওসিসহ প্রশাসনের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করার দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। বুধবার সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে এসব দাবি জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ দলটির নেতারা। চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গণঅধিকার পরিষদ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে যেসব প্রস্তাবনা দিয়েছে, সেগুলো হচ্ছে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা ও গুলি চালিয়ে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রম্নত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার এবং আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে। সব জেলায় নতুন পুলিশ সুপার ও থানায় নতুন ওসি নিয়োগ দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে দলটি। সেই সঙ্গে দাবি করা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশের বিভাগীয় ডিআইজিসহ দলবাজ কর্মকর্তাদের চাকরিচু্যত করে দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে জড়িতদের দ্রম্নত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনতে হবে। চলমান পরিস্থিতিতে পুলিশের মনোবল বৃদ্ধি ও নির্বিঘ্নে-নিরাপত্তার সঙ্গে কাজ করাসহ দ্রম্নত সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রতি থানায় ১০ জন করে সেনা সদস্য নিয়োগ করা জরুরি বলে মনে করে গণঅধিকার পরিষদ। তাদের দাবি, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশনসহ পুলিশের সর্বস্তরের ঘুষ-দুর্নীতি মুক্ত করে জনবান্ধন পুলিশি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে যেকোনো অসদাচরণ, দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ উঠলে এক মাসের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করারও দাবি জানানো হয়েছে। দলটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়াসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন সময় অন্যায়ভাবে চাকরিচু্যতদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া এবং প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন পুলিশ সদস্য নিয়োগ দেওয়ারও দাবি জানানো হয়। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে। তারা হলেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, আব্দুজ জাহের, জসিম উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান।