স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নেওয়ার প্রস্তাব

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংস পরিস্থিতিতে স্থগিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নেওয়ার জন্য প্রস্তাব জানিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। তিনি বলেন, 'স্থগিত পরীক্ষা আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আমরা এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। যেহেতু প্রশ্ন পুড়ে গেছে, সেগুলো নতুন করে তৈরি করতে কিছুটা সময় লাগবে। আশা করছি, সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আমরা পরীক্ষাগুলো নিতে পারব।' তপন কুমার সরকার বলেন, স্থগিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাগুলো ২০২৪ সিলেবাস অনুযায়ী পূর্ণ নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো গত ১১ আগস্ট থেকেও নতুন সূচিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও সরকার পতনের পর সহিংসতায় বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি প্রশ্নপত্র পুড়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা স্থগিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে ১৬ জুলাই রাতেই সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ১৮ জুলাইয়ের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়। পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গেলে ১ আগস্ট পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিকের সব পরীক্ষা স্থগিত করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ৪ আগস্ট থেকে পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবার কথা ছিল। কিন্তু সেই পরীক্ষাগুলোও স্থগিত হয়ে যায়। বার বার স্থগিতের পর ১১ আগস্ট থেকে নতুন সূচিতে পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও সেটিও নেওয়া সম্ভব হয়নি।