বিটিআরসি ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ে নজিরবিহীন লুটপাট হয়েছে
'মুঠোফোন গ্রাহকের' সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
গত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতাসীন সরকারের যোগসাজশে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নজিরবিহীন দুর্নীতি, লুটপাট হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।
'ইন্টারনেট বন্ধের কারণ ও বিটিআরসি দুর্নীতি-অনিয়ম' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিটিআরসি সামিটের শেয়ার হস্তান্তরের ফি হিসেবে ৫ শতাংশ কর অর্থাৎ প্রায় ১০ কোটি টাকার অধিক আদায় করেনি। এগুলো মওকুফ করে দিয়ে তারা রাষ্ট্রকে বঞ্চিত করেছে। তাছাড়া জনগণের কাছ থেকে আদায় করা এসও (সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল) ফান্ডের টাকা টেলিটক, বিটিসিএলকে দিয়ে হরিলুট করেছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ইন্টারনেট প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসপিএবি) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদকের সঙ্গে যোগসাজশ করে প্রায় ৫ শতাধিক আইএসপির লাইসেন্স অনৈতিকভাবে পাইয়ে দিয়েছেন। বিভিন্ন ইভেন্টের নাম করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জোর করে নিজেদের আত্মীয়-স্বজনকে বিভিন্ন চাকরি দিতে বাধ্য করেছেন এমন অভিযোগও রয়েছে।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ৫জি রেডিনেস প্রকল্পের নামে সি ক্যাটাগরির ইকু্যইপমেন্ট (যন্ত্রপাতি) ক্রয় করে ৪২০ কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি ও অনিয়ম সম্পর্কে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে ভিডিও গেম এবং বায়োপিক নির্মাণের নামে শত শত কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে।
তাছাড়া অনৈতিকভাবে কিছু গণমাধ্যম কর্মীকেও ইউটিউব এবং স্টার্টআপ নাম দিয়ে প্রতিমন্ত্রী পলক অনৈতিক সুবিধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান খালিদ আবু নাসের বলেন, ওটিটি ব্যবসাকে বন্ধ করে আকাশ এবং সেট টপ ব্যবসা কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণভাবে প্রতিযোগিতা কমিশন আইনের লঙ্ঘন।
এ সময় প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভির হাসান জোহা বলেন, গুজব যেমন আগেও হয়েছে এখনো হচ্ছে। বর্তমান সরকারের উচিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফ্যাক্ট চেক করা। যাতে করে প্রকৃত তথ্য জানা এবং বোঝা যায়। সাইবার নিরাপত্তার চরম হুমকিতে আছে বাংলাদেশ। তাই দ্রম্নত সাইবার নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসরাত হাসান, কেন্দ্রীয় সদস্য মনিরুজ্জামান।