এক সপ্তাহ পর স্বাভাবিক হয়েছে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর কার্যক্রম। সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশি ব্যবস্থা যেমন ভেঙে পড়েছিল, তেমনই ভাটা পড়েছিল জরুরি সেবার হটলাইন কার্যক্রম। থানা পুলিশ মাঠে না থাকায় ৯৯৯ স্বল্প পরিসরে অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিস সেবা চালু রেখেছিল।
মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ 'পূর্ণমাত্রায়' চালু হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৯৯৯-এর পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার মঙ্গলবার বলেন, 'গত সোমবার থেকেই আমাদের পুরোপুরি সেবা চালু হয়েছে। এখন পুরোদমে একেবারে আগের মতোই স্বাভাবিক আছে। ৫ আগস্ট পর্যন্ত আমাদের সব সেবা স্বাভাবিকই ছিল। কিন্তু ৬ আগস্ট থেকে এ কয়দিন থানা পুলিশ না থাকায় আমাদের সেবা কিছুটা ব্যাহত হয়। সোমবার থেকেই আমরা আবার স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছি।'
ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশজুড়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এরপর সেবা চেয়ে ফোন এসেছিল কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে পরিদর্শক আনোয়ার বলেন, 'কল এসেছে। এ সময়ে আমরা শুধুমাত্র অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের সেবা দিতে পেরেছি। যেহেতু থানায় পুলিশ ছিল না, সেটা দেওয়া সম্ভব হয়নি।'
সরকার পতনের পর ঢাকার থানাগুলোতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার খবর আসতে থাকে। এরপর থেকে কার্যত বন্ধ হয়ে যায় দেশের পুলিশি ব্যবস্থা। একরকম পালিয়ে থাকা পুলিশ সদস্যরা কাজে ফিরতে ১১ দফা দাবিও জানান।
রোববার রাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দাবি পূরণের আশ্বাস পান পুলিশ সদস্যরা। পরদিন তারা বিভিন্ন থানায় যোগ দিয়েছেন।
ইতোমধ্যে রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে নেমেছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরাও। এর মধ্যে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর কার্যক্রম 'পূর্ণমাত্রায়' চালুর খবর এলো।