যশোরে শিশুপুত্রকে হত্যা করে বাবার আত্মহত্যা
প্রকাশ | ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে শিশুপুত্রকে হত্যা করে বাবা আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আত্মহত্যাকারী ইমামুল হোসেন (২৮) ঝিকরগাছা উপজেলার শরীফপুর গ্রামের আমজাদ গাজীর ছেলে। হত্যার শিকার শিশুপুত্র আয়মান হোসেনের বয়স ১১ মাস। রোববার দিনগত রাতে নিজ বাড়িতে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
স্থানীয়রা জানান, ইমামুল দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে ছিলেন। তার স্ত্রী মমতাজ বেগমকে (২৩) তার পিতার বাড়িতে যেতে দিতেন না। বিষয়টি নিয়ে স্ত্রী মমতাজ ও ইমামুলের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে স্ত্রী মমতাজ জোর করেই এগারো মাসের শিশু সন্তান আয়মানকে তার বাবা ইমামুলের কাছে রেখে বাবার বাড়ি হাড়িয়া দেয়াড়া গ্রামে চলে যান। এরপর শিশুটি দুধের জন্য কান্নাকাটি শুরু করে। সেই কান্না থামাতে না পেরে শিশুটিকে গলাটিপে হত্যা করেন। এরপর বাবা ইমামুল রাতের কোনো এক সময়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
ইমামুলের মা রহিমা বেগম বলেন, 'রোববার আমার বৌমা মমতাজ বেগম আর ছেলে ইমামুল দু'জনে বৌমার বাপের বাড়ি যাওয়া নিয়ে গন্ডগোল করে। একপর্যায়ে ছোট্ট শিশুটিকে ফেলে রেখে বৌমা বাবার বাড়িতে চলে যায়। দিনের বেলায় আমি বাচ্চাটাকে খাইয়ে কোনো রকমে রেখেছিলাম। কিন্তু ছোট্ট শিশুটিকে নিয়ে আমার ছেলে এনামুল রাতে ঘুমায়। সকালে উঠে দেখি আমার ছেলের মৃতদেহটি রশিতে ঝুলছে। পাশে বিছানায় ছোট্ট আয়মানের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।' ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, 'সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জানতে পেরেছি পারিবারিক কলহের জেরে ইমামুল আত্মহত্যা করেছে। ইমামুলের ঘরে তার ছোট্ট শিশুসন্তান আয়মানকেও মৃত অবস্থায় পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে শিশুসন্তানকে রেখে তার মা মমতাজ বেগম বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ায় সে বাচ্চাটিকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছে।'