রাজশাহী মহানগরীতে কুড়িয়ে পাওয়া বোমা বিস্ফোরণে দুই শিশু আহত হয়েছে। সোমবার দুপুর ২টার দিকে নগরীর বোয়ালিয়া থানার টিকাপাড়া মোহাম্মদপুর জামে মসজিদের পাশে পরিত্যক্ত একটি জায়গায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত শিশুরা হলো- ওই এলাকার মো. শাহীনের মেয়ে মোছা. সামিন নাজ সাবা (৮) ও আলমগীর হোসেনের ছেলে মো. আবু বকর সিদ্দিক আব্দুলস্নাহ (৭)। আহত দুই শিশু চাচাত ভাইবোন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুরে আহত সাবা ও আব্দুলস্নাহ বাড়ির পাশেই পরিত্যক্ত ফাঁকা জায়গায় খেলাধুলা করছিল। খেলতে খেলতে ফাঁকা জায়গার এক পাশে বালুভর্তি কার্টুনে থাকা কালো টেপে মোড়ানো ককটেলসদৃশ্য বস্তু দেখতে পেয়ে সেগুলো হাত দিয়ে ধরে নিয়ে আসছিল। এ সময় সাবার হাত থেকে ককটেলটি পড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে সাবা ও আব্দুলস্নাহর হাতে ও পায়ে গুরুতর জখম হয়। বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে পরিবারের সদস্য ও আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেন।
রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস বলেন, বিস্ফোরণে আহত দুই শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত রয়েছে। শিশুদের শরীরের ক্ষতটা বিস্ফোরণের। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
খবর পেয়ে বিজিবি ও সেনাসদস্যরা গিয়ে সেখান থেকে ১০টি তাজা হাতবোমা উদ্ধার করে। এর মধ্যে একটি কার্টুনে ৮টি ও ময়লার ভেতর দুটি বোমা পড়ে ছিল। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, কোটা আন্দোলনের সময় এই হাতবোমাগুলো তৈরি করা হয়েছিল। পরে ব্যবহৃত না হওয়ায় সেগুলো ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মো. জামিরুল ইসলাম বলেন, 'বিষয়টি শুনেছি। দুই শিশু আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা রয়েছে। বোম ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে এগুলো নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করছে।'