তরুণদের আইসিটি মন্ত্রণালয়ে যুক্ত করতে হবে :উপদেষ্টা নাহিদ

প্রকাশ | ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে অফিস করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। এ সময় তাকে স্বাগত জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। পরে সবাইকে নিয়ে সম্মেলন কক্ষে বৈঠকে বসেন নাহিদ ইসলাম। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার পর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে যান তিনি। বৈঠকের শুরুতেই শেখ হাসিনা সরকারের পতন আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর আইসিটি বিভাগের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা। বৈঠক শেষে নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সামগ্রিকভাবে এই বিভাগের অতীত ও বর্তমান কার্যক্রম, চ্যালেঞ্জগুলো এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমি আমার জায়গা থেকে কথা বলেছি। তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা বলেন, তরুণদের ব্যাপকভাবে এই মন্ত্রণালয়ে যুক্ত করতে হবে। সেক্ষেত্রে দেশে ও দেশের বাইরে যারা আইটিতে দক্ষ এবং আগ্রহী তাদের নিয়ে একটা স্পেশাল টিম গঠনের কথা আমরা ভাবছি। তিনি বলেন, শুধু আইটি সেক্টরই নয় আমরা ভাবছি সরকারের জায়গা থেকে বিদেশে যেসব বাংলাদেশি তরুণ পড়াশোনা করেছেন, দক্ষতা অর্জন করেছেন, তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে দেশ গঠনের প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে। উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, যেসব স্টাটাপ আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল তাদের বিনিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। খুবই স্বৈরতান্ত্রিকভাবে এই কাজটি করেছিলেন যিনি আগে এই দায়িত্বে ছিলেন। আমরা এর নিন্দা জানিয়েছি। দ্রম্নত সময়ের মধ্যে তাদের (স্টাটাপ) সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। সরকারের সঙ্গে কাজ করার যে প্রক্রিয়া ছিল তা চালু করা হবে। কাঠামোগত পরিবর্তন ও দুর্নীতি বন্ধ করা হবে। তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা বলেন, বৈঠকে সার্বিকভাবে কাঠামোগত পরিবর্তনের কথা আমরা বলছি। সব মন্ত্রণালয়েই যেন এটা করা হয়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের যে অবস্থান তা নিয়েও কথা বলেছি। তিনি বলেন, আমরা জানি প্রকল্পগুলো তৈরির পেছনে বড় উদ্দেশ্য থাকে দুর্নীতি। এই জায়গাগুলো অবশ্যই রোধ করতে হবে। এবং যতটুকু আমাদের প্রয়োজন, আমাদের সক্ষমতা রয়েছে, তার ভেতরেই কাজ করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, প্রশিক্ষণের জায়গা সবার আগে। এবং ফ্রিল্যান্সাররা বাংলাদেশে একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা তৈরি করেছে তাদের কাজের মাধ্যমে। তরুণরা নিজ উদ্যোগে অনেক স্টাটাপ তৈরি করছে। তাদের যুক্ত করতে হবে। তাদের আরও ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। একটা দক্ষ জনবল আমাদের আইটি সেক্টরে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই জনশক্তির ওপর নির্ভর করবে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ। তাই এ সেক্টরে কোনো ধরনের দুর্নীতি বা অবহেলার সুযোগ নেই।