এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগে এবার ২৪ ঘণ্টার 'আলটিমেটাম'
প্রকাশ | ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
ক্ষমতার পালাবদলের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামা কর্মীরা এবার ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন।
এরমধ্যে তিনি পদ না ছাড়লে বুধবার থেকে একযোগে সারাদেশের ভ্যাট কমিশনারেট, কাস্টম হাউস ও কর অঞ্চলে লাগাতার কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনের সামনে যৌথভাবে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ইন্সপেক্টর অব ট্যাক্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম আকাশ এবং বাংলাদেশ কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি মজিবুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিসহ একটি স্মারকলিপি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও অর্থ উপদেষ্টা বরাবর পাঠানোর ঘোষণাও দেওয়া হয় সেখানে।
প্রবল গণআন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্র্বর্তী সরকারের সংস্কারের প্রতিশ্রম্নতির মধ্যে পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে; চাপের মুখে সরে যেতে হয়েছে প্রধান বিচারপতিকে, পদ ছেড়েছেন গভর্নরসহ আরও অনেকে।
এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগ এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রেষণে এনবিআরে নিয়োগ না দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে আন্দোলনে নামেন সংস্থাটির দশম থেকে বিংশতম গ্রেডের কর্মচারীরা ও কাস্টমস ও কর কর্মকর্তারা। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের 'বঞ্চিত' কর্মচারীরাও তাতে শরিক হয়েছেন।
সোমবারের বিক্ষোভ সমাবেশে আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের বিরুদ্ধে নিয়োগে অনিয়ম, বদলি-পদায়ন ও পদোন্নতি বাণিজ্য, অবসরকালীন সুবিধাবঞ্চিত করা, অর্থপাচার ও লুণ্ঠনে সহায়তা করাসহ নানা অভিযোগ তোলা হয়।
তার সহযোগী হিসেবে কর প্রশাসনের প্রথম সচিব মো. শাহিদুজ্জামান, শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসনের প্রথম সচিব ঈদতাজুল ইসলাম ও সাবেক বোর্ড প্রশাসনের প্রথম সচিব গাউসুল আযমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণসহ মোট ৯ দফা দাবি তুলে ধরা হয় সমাবেশে- প্রশাসন ক্যাডার থেকে প্রেষণে এনবিআরে পদায়ন না করা; আয়কর অথবা কাস্টমস ক্যাডার থেকে চেয়ারম্যান নিয়োগ; দুই বছর পরপর বদলি নিয়ে বাণিজ্য বন্ধ করা; অবৈধ নিয়োগ ও আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগ বাতিল করা; পদায়নে জ্যেষ্ঠতার বিধিমালা ও আইন অনুসরণ; শূন্য পদে পদোন্নতি ও কোনো পদ খালি না রাখা; অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে পরামর্শ করে স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং আয়কর অনুবিভাগের সিদ্ধান্ত কেবল আয়কর বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাতে রাখা।