সংবাদ সংক্ষেপ
প্রকাশ | ১২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
অস্ট্রেলিয়া থেকে পদত্যাগপত্র পাঠালেন ইউজিসি চেয়ারম্যান
গণবিক্ষোভে সরকার পতনের পর সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে পরিবর্তনের যে ঢেউ লেগেছে, তার ধারাবাহিকতায় এবার পদত্যাগ করলেন শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের পদ পাওয়া অধ্যাপক কাজী শহীদুলস্নাহ। রোববার সকালে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে ইউজিসি সচিব ফেরদৌস জামান জানান। তিনি বলেন, 'স্যার শারীরিক অসুস্থতার কারণে পদত্যাগ করেছেন।'
মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বদানকারীদের পদত্যাগের হিড়িক পড়ে গেছে। ২০১৯ সালের ২৬ মে ইউজিসির ত্রয়োদশ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন কাজী শহীদুলস্নাহ। গত বছরের ২৮ মে তাকে দ্বিতীয় মেয়াদে ওই পদে রাখার আদেশ আসে।
ক্যানসারে আক্রান্ত শহীদুলস্নাহ গত বছরের ২০ আগস্ট থেকে অস্ট্রেলিয়ায় আছেন। পদত্যাগপত্রেও তিনি শারীরিক অসুস্থতাকেই কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন বলে জানান সচিব ফেরদৌস জামান।
পদত্যাগপত্রে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ এবং বর্তমান শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তিনি কমিশনের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালনে অপারগ হওয়ায় পদত্যাগ করছেন।
অধ্যাপক শহীদুলস্নাহ ২০২২ সালে পাকস্থলির ক্যানসারে আক্রান্ত হন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে অবস্থান করতে হয়েছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য কাজী শহীদুলস্নাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন। তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন অস্ট্রেলিয়া থেকে। ইতিহাস বিভাগের প্রধান, কলা অনুষদের ডিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যও ছিলেন তিনি।
অস্বচ্ছতা যেখানেই
আছে সেটা আমরা দূর
করব :উপদেষ্টা শারমীন
ম যাযাদি রিপোর্ট
আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মন্ত্রণালয়ে কাজ করার সুযোগ দিতে চান জানিয়ে অন্তর্র্বর্তী সরকারের সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, অস্বচ্ছতা যেখানে আছে সেটা আমরা দূর করব। স্টেকহোল্ডারদের অংশীদার করব, যাতে করে স্বচ্ছতা তৈরি হয় এবং জবাবদিহি নিশ্চিত হয়।
রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন অন্তর্র্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা।
আপনারা কী ধরনের সংস্কার করবেন? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে শারমীন মুরশিদ বলেন, আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আমাদের অন্তর্র্বর্তী সরকারের বড় যে জায়গাটা আছে সেই জায়গাটা মাথায় রাখব। সেই পলিসিটা আমি মাথায় রাখব, মন্ত্রণালয়কে বুঝতে চেষ্টা করব এবং চেষ্টা করব শুধরে নেওয়ার ও পরিবর্তন করার।
তিনি বলেন, অস্বচ্ছতা যেখানে আছে সেটা আমরা দূর করব। স্টেকহোল্ডারদের অংশীদার করব। সেখানে এদের কী মনিটরিং মেকানিজম আছে আমি বুঝব। প্রয়োজন হলে আমরা নতুন মনিটরিং মেকানিজম অন্তর্ভুক্ত করব।
তিনি আরও বলেন, যে সম্পদ আছে, বাজেট আছে সেটা ব্যবহার হচ্ছে কীভাবে, সেটা বুঝতে হবে। ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টিবিলিটি (অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা) আমরা দেখব। দুর্নীতির যে জায়গাটা, ব্যক্তি পর্যায়ের স্টাফদের ইন্টিগ্রেটি সেটা নিশ্চয়ই দেখব।
এই উপদেষ্টা বলেন, একটা বড় জায়গা আমার জন্য হচ্ছে এই যে একটা মাস এই বাচ্চারা এভাবে লড়লো। ওরা আমাদের বীরসন্তান। ওদের মতো সাহসি আর কেউ নেই আমাদের এ দেশে।
'আমার ইচ্ছে থাকবে আমরা যে পরিবর্তনগুলো আনবো সেখানে তরুণদের কেন্দ্র করে একটি বড় পরিকল্পনা নেওয়ার। তাদের এটার সঙ্গে যেন সম্পৃক্ত করতে পারি। তাদের আমি মন্ত্রণালয়ে কাজ করার একটা সুযোগ করে দিতে চাই' বলেন শারমীন এস মুরশিদ।