ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশ | ১২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউসুফ এবং উপাধ্যক্ষ এ.টি.এম মইনুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রোববার সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে এ বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা, 'এক দফা এক দাবি ইউসুফ তুই কবে যাবি', 'দালাল ইউসুফের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে', 'দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত', 'ডিসির অধ্যক্ষ, ভুয়া-ভুয়া' ইত্যাদি স্স্নোগান দিতে থাকেন। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী শাহীন আলম বলেন, সাধারণ ছাত্ররা যখন রাস্তায় রক্ত দিয়েছে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ তখন স্বৈরাচার সরকারের পক্ষ নিয়েছে। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াননি। আমরা এই ধরনের শিক্ষকদের কলেজ ক্যাম্পাসে দেখতে চাই না। যেসব শিক্ষকের সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি মায়া-মমতা নেই, তাদের শিক্ষক হিসেবে মানতে আমাদের লজ্জা লাগে। আমরা চাই খুব দ্রম্নত তারা পদত্যাগ করুন। 'অধ্যক্ষসহ দুই শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবি' এদিকে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের টিসি দেওয়া ও হেনস্তা করার অভিযোগ তুলে অধ্যক্ষসহ দুই শিক্ষককে চাকরিচু্যত করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে আরও এক শিক্ষককে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছে তারা। রোববার সকাল ১০টায় রাজধানীর বেইলি রোডে ভিকারুননিসার মূল শাখার সামনে এ বিক্ষোভ করে তারা। এ সময় তাদের হাতে 'শিক্ষকের সংস্কার, ফারহানার বহিষ্কার', 'কেক, ফারহানা, আর না আর না', 'ভিকারুননিসায় দুর্নীতি, মানব না মানব না' লেখা পস্ন্যাকার্ড দেখা যায়। এর আগে বৃহস্পতিবারও একই দাবিতে বিক্ষোভ করেন তারা। যতদিন তাদের দাবি মেনে অধ্যক্ষ ও অন্য এক শিক্ষককে বহিষ্কার না করা হবে, ততদিন তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। একইসঙ্গে ক্লাস বর্জন করবেন বলেও জানিয়েছেন। জাবির আইন অনুষদের ডিনের পদত্যাগ দাবি এদিকে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আইন অনুষদের ডিন তাপস কুমার দাসের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করছেন নিজ বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। রোববার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে পুলিশি গ্রেপ্তারে শিক্ষার্থীদের কোনো সহযোগিতা না করা, শিক্ষার্থীদের দুষ্কৃতকারী ও শিবির বলে ট্যাগ দেওয়া। এছাড়া ক্লাসে অশিক্ষিতসুলভ আচরণসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আরশাদুল ইসলাম বলেন, আমার ডিপার্টমেন্টের ভাই-বন্ধুদের পুলিশ ধরে নিচ্ছে। আর ডিন হিসেবে তার কাছে সহযোগিতা চাওয়া হলে তিনি বলেন, হল বন্ধ, ভার্সিটি বন্ধ তাহলে তোমরা ক্যাম্পাসে কী করো? এসব বলে চার্জ করতেছিলেন। অনেকেই আশপাশের এলাকায় থাকতাম। তিনি কি এসব বলে শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করতে পারেন? তিনি তাদের শিবির বলেও আখ্যায়িত করেন। এসময় ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী অনিক বলেন, ২৭ জুন আমার ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল। আমি তাড়াহুড়ো করে ক্লাসে আসি এবং প্রথমদিকের একটি বেঞ্চে বসে পরীক্ষা শুরু করি। তাড়াহুড়োয় আমার ফোনটা বন্ধ করতে মনে ছিল না। কিছুক্ষণ পর আমার ফোনটা বেজে উঠলে তিনি বলেন আমি নকল করছি। আমি নকল করিনি বললে তিনি আমাকে সবার সামনে থাপ্পর মারেন। এছাড়া সেদিন যে আমার ফোন নিলেন, দেড় মাস পার হলেও এখনো আমার ফোন ফেরত দেননি। \হ