দেশের মানুষকে না খেতে দিয়ে ইলিশ রপ্তানি নয়
-প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
প্রকাশ | ১২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, 'দেশবাসী ইলিশ পাবে না আর বিদেশে রপ্তানি হবে- এটা হতে পারে না। আগে দেশকে গুরুত্ব দিতে হবে। এরপর রপ্তানি করা হবে। দেশের মানুষকে না খাইয়ে বাইরে পাঠানো আমি কোনোভাবেই অ্যাপ্রম্নভ করি না।'
দায়িত্ব নেওয়ার পর রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ইলিশের দাম যেন সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে সে বিষয়েও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছেন তিনি।
ফরিদা আখতার বলেন, 'ইলিশ রপ্তানির চাইতে আমাদের বেশি চেষ্টা করতে হবে দেশের মানুষ যেন ইলিশ মাছটা পায় এবং সেটার দামটা অহেতুকভাবে বাড়ানো কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়। আগে দেশকে গুরুত্ব দিতে হবে। পরে রপ্তানি হবে।'
দুধ-ডিমের মতো পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'করতে হবে। পারবো কি না সেটা পরের কথা। কিন্তু আমার দায়িত্ব হলো দাম কমানো। এখানে অনেক সিন্ডিকেট আছে অনেক লেভেলে। যেমন একটি জায়গায় শুনেছি যে চাঁদাবাজির কারণে দাম বেড়ে যায়। সরবরাহের ক্ষেত্রে যেখানে উৎপাদন হচ্ছে সেখান থেকে বাজার পর্যন্ত আসতে গিয়ে অনেক জায়গায় পয়সা দিতে হয়, যেটা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। সেসব জায়গায় একটা মন্ত্রণালয় একা কাজ করতে পারবে না। এটা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় সবাই মিলে করতে হবে। এসব বিশেষ খাদ্যের দাম বাড়তে দেওয়া যাবে না। আমি আরও আলোচনা করবো কোথায় কোথায় সমস্যা আছে এবং সেখানে গিয়ে অবশ্যই দাম কমাতে চাই।'
ফরিদা আখতার বলেন, 'আমাদের দেশের মাছ, গরু-ছাগলের যে প্রজাতি আছে তা বিশ্বে উলেস্নখযোগ্য। এই মন্ত্রণালয়ে কাজের যে সুযোগ রয়েছে সেদিকে মনোযোগ দেব। এখানে অনেক গবেষণা হচ্ছে। এখান থেকে মানুষের জীবন-জীবিকা, পুষ্টির জোগান, আমিষের ঘাটতি পূরণের অনেক সুযোগ হবে। অনিয়মের কোনো সুযোগ রাখা উচিত হবে না। আমরা সেটা অবশ্যই দেখব। কিন্তু প্রথম কাজ হলো একদম গ্রাম পর্যায়ে বা মাঠ পর্যায়ে যে অফিসগুলো আছে সেখানে যাব। সেখানে যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো চিহ্নিত করব।'
তিনি বলেন, 'প্রথম কাজ হচ্ছে মানসম্মত খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা। আমিষ নিশ্চিত করা। খাদ্য ও সরবরাহের জোগান এমনভাবে নিশ্চিত করতে হবে যাতে কখনো সংকট তৈরি না হয়। মাত্র কাজে যোগ দিয়েছি। আমি খোঁজখবর নেব তারপর কোন বিষয়গুলো অগ্রাধিকার দিতে হবে সেগুলো ঠিক করে কাজ এগিয়ে নেব। সহিংসতায় যেসব মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ভাঙচুর করা হয়েছে সেগুলোর সংস্কার কাজও শুরু করা হবে।'
এর আগে সকালে তিনি সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে পৌঁছালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।