ব্রাজিলে বিমান বিধ্বস্ত ৬১ আরোহীর মৃতু্য

তিন দিনের শোক ঘোষণা

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
শুক্রবার ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় পারান রাজ্য থেকে যাত্রী নিয়ে একটি বিমান সাও পাওলো শহরের প্রধান বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে ভিনহেদো এলাকায় বিধ্বস্ত হয় -ইন্টারনেট
ব্রাজিলের সাও পাওলো রাজ্যে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৬১ আরোহীর প্রাণহানির ঘটনায় দেশটির প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা দেশে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন। শুক্রবার ভোপাস এয়ারলাইন্সের ওই ফ্লাইটটি ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় পারান রাজ্য থেকে যাত্রী নিয়ে সাও পাওলো শহরের প্রধান বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে ভিনহেদো এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। খবর বিবিসি ও সিএনএন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টার্বোপ্রপ উড়োজাহাজটিতে ৫৭ জন যাত্রী এবং চারজন ক্রু ছিলেন। তাদের কেউ বেঁচে নেই। এদিকে স্যোশাল মিডিয়ায় আসা ভিডিওতে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি খাঁড়াভাবে নেমে আসতে থাকে এবং ওই অবস্থায় ঘুরতে ঘুরতে একটি আবাসিক এলাকার কাছে ভূপাতিত হয়। ভিনহেদোর পাশের ভালিনহোস শহরের কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ায় একটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে বাসিন্দাদের কেউ হতাহত হননি। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভা উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন। সাও পাওলো রাজ্যের গভর্নর তারসিসিও ডি ফ্রেইটাস তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে। এদিকে, ভিনহেদো শহরে শুক্রবার বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটির ৫৭ আরোহীর সবার ব্রাজিলের নাগরিকত্বের নথি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ভোপাস এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা। এক সংবাদ সম্মেলনে ভোপাসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এদুয়ার্দো বুশ এবং পরিচালক মার্সেল মৌরা জানিয়েছেন, কোনো যাত্রীর দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে উড়োজাহাজটি কেন বিধ্বস্ত হলো, তার কোনো কারণ এখনো জানা যায়নি উলেস্নখ করে এদুয়ার্দো বুশ বলেন, 'ক্রু সবাই দক্ষ ছিল। কী ঘটেছে, তা বোঝার জন্য আমরা পাইলট এবং কন্ট্রোল টাওয়ারের মধ্যে সব যোগাযোগের তথ্য জানার অপেক্ষায় আছি।' বুশ বলেছেন, 'বিমানটিতে দুটি বস্ন্যাক বক্স রয়েছে এবং সেগুলোতে থাকা উড়োজাহাজটির উড্ডয়নের তথ্য বিশ্লেষণ করার মতো উপযুক্ত দুটি পরীক্ষাগারও রয়েছে। রেকর্ডার থেকে তথ্য পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। তবে দুর্ঘটনার তীব্রতা ক্ষতিগ্রস্ত রেকর্ডার থেকে তথ্য উদ্ধার অসম্ভবও করে তোলে।' দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে বিদেশি কোনো সংস্থার সাহায্য নেওয়া হতে পারে বলে বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে ব্রাজিলের সাও পাওলো রাজ্য সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ সরানোর কাজ শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। মৃতদেহগুলো কেন্দ্রীয় ফরেনসিক মেডিকেল ইনস্টিটিউটে পাঠানো হবে। সাও পাওলোর নিরাপত্তা সচিব গুইলহার্মে দেরাইত বলেছেন, 'একটি মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং মরদেহ শনাক্ত করতে কাজ করছে। তবে কয়েকটি মরদেহ পুড়ে এমনভাবে বিকৃত হয়ে গেছে যে, তাদের পরিচয় শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কর্মকর্তারা নিহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, শিগগিরই যাত্রীদের নাম প্রকাশ করা হবে। পরবর্তীতে মৃতদেহগুলো শনাক্ত করতে পরিবারগুলোকে অবশ্যই নিহতদের কোনো মেডিকেল ডকুমেন্টেশন সেন্ট্রাল ফরেনসিক মেডিকেল ইনস্টিটিউটে উপস্থাপন করতে হবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'সাও পাওলো রাজ্যের সিভিল ডিফেন্সের একটি দলও দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবে।'