আজকের যায়যায়দিন

সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, অনতিবিলম্বে সুপ্রিম কোর্টে বিচারকাজ শুরু করতে হবে। আগামী রোববার থেকেই চালু করতে হবে কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টের 'বিতর্কিত' বিচারপতিদের বাদ দিয়ে এবং রোববার থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ খুলে দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ ফেসবুক বার্তায় বলেন, আমরা অচিরেই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার সক্রিয় শরিক প্রধান বিচারপতি, আপিল বিভাগের বিচারপতিদের অপসারণ দাবি করছি। অনতিবিলম্বে দেশপ্রেমিক এবং জনগণের পক্ষের বিচারপতিদের ওই শূন্য পদগুলোতে নিয়োগ করে দেশে ছাত্র-জনতার সরকার প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম দ্রম্নততর করা হোক। আশা করব দ্রম্নত বিচারপতিরা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন। অন্যথায় আমাদের কঠোর কর্মসূচির দিকে যেতে হবে। এ ছাড়া অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বিচার বিভাগকে স্বাধীন ও কার্যকরভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় পলিসি বাস্তবায়ন করার আহ্বান থাকবে।

আমনের বাম্পার ফলন ও ভালো দামে খুশি কৃষক / মাঠে মাঠে সোনারঙা ধানের ছড়াছড়ি

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, সারা বাংলাদেশ (অফিস ও অন্য প্রতিষ্ঠান) খুলেছে। সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ থাকবে কেন? বিচারকাজ বন্ধ থাকবে কেন? অনতিবিলম্বে তথা রোববার থেকে বিচারকাজ চালুর অনুরোধ জানাচ্ছি। তবে আপিল বিভাগের বিতর্কিত, অতিরিক্ত আওয়ামী লীগ, রাজনৈতিকভাবে বিচার যারা করেছেন, হাইকোর্ট বিভাগের বিতর্কিত যারা তাদের বাদ দিয়ে আগামী রোববার সুপ্রিম কোর্ট চালু যেন হয়। ছাত্ররা দাবি করেছেন, তারা অনেকের নাম বলেছেন- আমি নামগুলো বললাম না। তবে ছাত্রদের দাবির সঙ্গে একমত। বিচার বিভাগ ঢেলে সাজাতে হবে। এটা পচিয়ে ফেলেছে। আওয়ামী লীগ সরকার পচিয়ে ফেলেছে।

তিনি আরও বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে অসুস্থ বানিয়ে যারা বিদেশে রেখে পদত্যাগ করিয়েছেন এবং দেশত্যাগে বাধ্য করেছেন তাদের বিচার করতে হবে।