সারাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা ফেরানোর দাবি জানিয়ে নাগরিক অধিকার সুরক্ষা জোটের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেছেন, '৫ অগাস্ট '৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের মহান বিজয় দিবসের পর ছাত্র-জনতার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিজয়; যা গণতন্ত্র ও জবাবদিহিতামূলক সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার এক সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু একশ্রেণির সুযোগসন্ধানী মানুষ ও দুষ্কৃতকারী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নানা সহিংসতা ও হামলা করছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী আহমদীয়া সম্প্রদায় এবং তৃতীয় লিঙ্গের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মানুষকে আক্রমণ, তাদের সম্পদ লুণ্ঠন ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে। তারা দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় থানা আক্রমণ করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও দলিলপত্র লুটপাট ও বিনষ্ট করছে।'
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে 'সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা, লুটপাট ও নির্যাতন প্রতিরোধ ও অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের কাছে নাগরিক প্রত্যাশা' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তিন দিন দেশে কার্যকর কোনো প্রশাসন ছিল না জানিয়ে শামসুল হুদা বলেন, 'আমরা আশা করছি, অতিসত্বর অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিতে চলেছেন। এরপর পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। জনমনে বিরাজমান আশঙ্কা দূর হবে।'
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, 'ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু, আদিবাসী ও অন্যান্য আক্রান্ত প্রান্তিক মানুষের বাড়িঘর, স্থাপনা, মন্দির, গির্জাসহ সকল উপাসনালয়ের সুরক্ষা দিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত বাহিনীকে নির্দেশ দিতে হবে, যারা এই সকল অগ্নিসংযোগ ও হত্যার সঙ্গে যুক্ত- তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইন অনুযায়ী শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।'
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন 'নিজেরা করি'র সমন্বয়কারী খুশি কবির, নারী পক্ষের সদস্য শিরিন হক, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তবারক হোসেইন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা কাজল দেবনাথ, বাংলা লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও বাংলাদেশ হিন্দু-বৈদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ।