সংবাদ সংক্ষেপ
প্রকাশ | ০৮ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীসহ
৭৫৮ রাজনৈতিক
নেতাকর্মীর জামিন
ম চট্টগ্রাম বু্যরো
চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থীসহ বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ৭৫৮ জন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মঙ্গলবার থেকে বুধবার বেলা ২টা পর্যন্ত এসব কারাবন্দিরা মুক্তি পেয়েছেন।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন বলেন, 'আদালত থেকে জামিননামা আসার পর যাচাই-বাছাই করে আজ (বুধবার) ৫৮ জনকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ৭০০ জনকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।'
জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মামলায় অন্তত শিক্ষার্থীসহ এক হাজার বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্দি হন। এর আগে গত ২ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘর্ষ ও নাশকতার ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার ১৬ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। এদের মধ্যে নগরের ৩ জনকে চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন আদালত এবং জেলার ১৩ জনকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আদালত জামিন দেন। এছাড়া চট্টগ্রাম নগর ও জেলায় কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষ ও নিহত হওয়ার ঘটনায় মোট ৩৪টি মামলা হয়। এসব মামলায় ৩৮ হাজার ৬০০ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয় প্রায় ১ হাজার জনকে।
উলেস্নখ্য, চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ, যুবলীগ ছাত্রলীগের সংঘর্ষে গত ১৬ ও ১৮ জুলাই চার শিক্ষার্থীসহ ছয়জন নিহত হন। আহত হন দুই শতাধিক।
নির্বাচন কমিশনে
আতঙ্ক, অফিসে
আসেননি সিইসি
ম যাযাদি ডেস্ক
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর প্রথম কার্যদিবস মঙ্গলবারে অফিসে আসেননি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং অন্য চার নির্বাচন কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এমনকি দ্বিতীয় দিন বুধবারও অফিস করেননি সিইসি।
তবে দ্বিতীয় দিনে অফিসে এসেছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব এবং মো. আলমগীর। এদিকে বেলা একটার দিকে ইসি ভবনে আসেন ইসি সচিব শফিউল আজিম। তবে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা ও মো. আনিছুর রহমান অফিসে আসেননি।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ইসিতে হামলার আতঙ্ক বিরাজ করছে। উড়ো খবরের ভিত্তিতে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নির্বাচন ভবনে হামলার উদ্দেশ্যে বিক্ষুব্ধ জনতা আগারগাঁওয়ের দিকে আসছে এমন উড়ো খবর ছড়িয়ে পড়লে ইসি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সবাই ভবন থেকে নেমে সামনের সড়কে চলে আসেন।
এই খবরে ইসি ভবনের সামনে সেনাবাহিনীর তিনটি গাড়ি অবস্থান নেয়। এতে হামলার আতঙ্ক কেটে যায়।