কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা কোনোমতে এক কথা নয়। বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা, স্বাধীনতার মহানায়ক। আজকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বাড়ি যেভাবে জ্বলতে, পুড়তে ধ্বংস হতে দেখলাম, তার আগে আমার মৃতু্য হলে অনেক ভালো হতো। বুধবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আগুনে পোড়া ভবন দেখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার মধ্য দিয়ে যে বিপর্যয় এসেছিল, এটা তার চাইতে বড় বিপর্যয় নয়। নিশ্চয়ই আওয়ামী লীগ অনেক অন্যায় কাজ করেছে। দেশে একটা বিপস্নব ঘটে গেছে। কিন্তু এখানে শেখ মুজিব তো কিছু করে নাই, সে বাঙালি জাতিকে অনেক সম্মানিত করেছে। আজকের এই ধ্বংস ভবিষ্যৎ ইতিহাসে বাঙালি জাতির জন্য একটা কলঙ্ক হয়ে থাকবে।
ছাত্র নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশকে ধ্বংস থেকে রক্ষা করুন। সংখ্যালঘুদের জীবন রক্ষা করুন। আওয়ামী লীগ করলেই কোনো দোষের নয়, কোনো আওয়ামী লীগের গায়ে হাত দেবেন না। দেশে শান্তি স্থাপন করুন। আমি চাই এখন থেকে দেশে শান্তি আসুক।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করায় অভিনন্দন জানিয়ে বঙ্গবীর বলেন, তার এই মুহূর্তে প্যারিসে বসে থাকার কোনো মানে হয় না। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা আনতে না পারলে তারও পরিণতি এমন হবে। এজন্য সবাইকে ধৈর্য ধরতে বলছি। সবাইকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকতে বলছি। ছাত্র বন্ধুদের অভিনন্দন জানিয়ে বলব, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করা বড় দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে তারা ব্যর্থ হবে না- এটাই আমি আশা করি।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকবেন, তার সম্মান যুগ যুগ থাকবে। যারা এই অপকর্ম করছে তাদের একদিন না একদিন বিচার হবেই।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর কিছু হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার মধ্য দিয়ে যে বিপর্যয় এসেছিল, এটা তার চাইতে বড় বিপর্যয় নয়। কিছুটা সময় তাদের কষ্টে যাবে। কিন্তু এটা একেবারে কেয়ামত হয়ে যাবে না।