কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেওয়া নিরাপত্তা সতর্কতার কথা মনে করিয়ে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বলেছে, তাদের নাগরিকরা বাংলাদেশে 'অনিরাপদ বোধ' করলে দেশে ফিরতে পারেন।
শনিবার দূতাবাসের নিরাপত্তা সতর্কতায় বলা হয়েছে, বিক্ষোভ ও সরকারের প্রতিক্রিয়ায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের চোখ-কান খোলা রাখা এবং বিক্ষোভ থেকে দূরে থাকা উচিত। একই সঙ্গে যে কোনো বড় জটলার আশপাশে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
''অনিরাপদ বোধ করলে আমেরিকান নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার বিষয় বিবেচনা করা উচিত। বাংলাদেশ বর্তমানে 'ভ্রমণ করবেন না' মর্মে চার মাত্রার ভ্রমণ সতর্কতার অধীন রয়েছে।"
বিবৃতিতে বলা হয় 'প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, পদযাত্রা এবং সমাবেশ অব্যাহত রাখার আহ্বান রয়েছে এবং সেগুলো দ্রম্নত সংঘাতে পরিণত হতে পারে। ৪ আগস্ট রোববার থেকে 'সর্বাত্মক অসহযোগ' আন্দোলন শুরু হওয়ার বিষয়ে আমরা অবগত। আগামী দিনগুলোতে আরও বিক্ষোভ হওয়ার কথা রয়েছে।'
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার মধ্যে ২১ জুলাই ভ্রমণ সতর্কতা হালনাগাদ করে 'জরুরি নয়'- এমন কর্মীদের বাংলাদেশ ছাড়ার অনুমতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
ওই সময় এক ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মীদের মধ্যে যাদের উপস্থিতি জরুরি নয়, তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা চাইলে দেশে ফিরতে পারেন, সে অনুমতি তাদের দেওয়া হয়েছে।
'বাংলাদেশে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের কনসু্যলার ও অন্যান্য সেবা দেওয়ার জন্য দূতাবাস খোলা রয়েছে।'
এরপর ওই ভ্রমণ সতর্কতার সূত্র ধরে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন কর্মসূচি ঘিরে দূতাবাসের ওয়েবসাইট ও সামাজিক মাধ্যম পেজগুলোতে আপডেট দেওয়া হয়। এবারের আপডেটে নাগরিকদের দেশে ফেরার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।