নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় বেপরোয়া গতির স্টার লাইন পরিবহণের একটি বাস চাপায় সিএনজি আরোহী মা-ছেলেসহ একই পরিবারের তিনজনের মৃতু্য হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বেগমগঞ্জ-ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের দোকানঘর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- দুর্গাপুর ইউনিয়নের ছাদু বেপারী বাড়ির সিএনজি চালক জসিম উদ্দিন (৫৫) ও তার মা তাহেরা বেগম (৭৫) এবং তার জেঠাতো ভাই সলিমুলস্নার
স্ত্রী কহিনুর বেগম (৪৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকালে পার্শ্ববর্তী জেলা ফেনী থেকে স্টার লাইন পরিবহণের একটি বাস লক্ষ্ণীপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। যাত্রা পথে বাসটি বেগমগঞ্জ টু ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের দুর্গাপুর ইউনিয়নের দোকানঘর এলাকায় পৌঁছালে সড়কের একপাশ সরু থাকায় বাসটি উল্টো পথে ঢুকে পড়ে। ওইসময় সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে সামনে থেকে চাপা দেয় স্টার লাইন বাস। এতে সিএনজি দুমড়ে-মুচড়ে বাসের নিচে চলে যায়। তাৎক্ষণিক সিএনজি চালক ছেলে-মা ও তার জেঠাতো ভাইেয়ের স্ত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
বাসের যাত্রী মোমিত জানান, বাসটি মাত্র ৯ মিনিটে দাগনভূঞা থেকে বেগমগঞ্জের দোকানঘর আসে। চালক শুরু থেকেই খুব বেপরোয়া গতিতে বাস চালায়। বাসে থাকা একাধিক যাত্রী চালককে আস্তে গাড়ি চালাতে বললেও সে কারো কথায় কর্ণপাত করেনি।
স্থানীয়রা জানায়, সিএনজি চালক জসিম তার মা ও জেঠাতো ভাইয়ের স্ত্রীসহ বাড়ি থেকে ভাত নিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। যাত্রা পথে তারা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একই পরিবারের তিনজন মারা যান। বেগমগঞ্জ টু ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের দুর্গাপুর ইউনিয়নের দোকানঘর এলাকার রাস্তা এক পাশে সরু থাকায় প্রায় গাড়ি এখানে উল্টো পথে ঢুকে রাস্তা পার হয়। এজন্য এই স্থানে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে।
চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, ঘটনার পরপরই ঘাতক বাস চালক পালিয়ে যায়। তবে এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরবর্তীতে পুলিশ বাস ও সিএনজি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।