রূপপুর পারমাণবিক বিদু্যৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের রিয়্যাক্টর কম্পার্টমেন্টে রিফুয়েলিং মেশিনের প্রস্তুতির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। রিয়্যাক্টর কোর-এ ডামি ফুয়েল লোডিংয়ের জন্য এটি সর্বশেষ ধাপ। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই ডামি ফুয়েল লোডিংয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
রিয়্যাক্টর কোর-এ ফ্রেশ পারমাণবিক জ্বালানি লোড এবং কোর থেকে ব্যবহৃত জ্বালানি বের করে আনার জন্য ব্যবহৃত হয় নিউক্লিয়ার রিফুয়েলিং মেশিন। ৬০ টন ওজনের মেশিনটি ফুয়েল পুল ও রিয়্যাক্টর পিটের ওপর অবস্থিত। এটির যান্ত্রিক অংশে রয়েছে ব্রিজ, ট্রলি এবং সার্ভিস এরিয়া। এ ছাড়া এই মেশিনে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে একটি কনট্রোল এবং একটি মনিটরিং সিস্টেম, যার মাধ্যমে দূরবর্তী স্থান থেকে পারমাণবিক জ্বালানির ফুয়েলিং/রিফুয়েলিং এবং ইন্সটলেশন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ এবং মনিটরিং করা হয়।
এটমটেক নার্গো বাংলাদেশ শাখার পরিচালক ডেনিস মাজলভ এ প্রসঙ্গে বলেন, 'পারমাণবিক বিদু্যৎ কেন্দ্রের নিরাপদ পরিচালনের ক্ষেত্রে রিফুয়েলিং মেশিনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফুয়েল অ্যাসেম্বলি নিয়ে এটির কাজ অত্যন্ত নিখুঁত হওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে কোনো বিশেষ স্থানে অনুমোদিত ত্রম্নটি কোনোক্রমেই দুই মিলিমিটারের বেশি হবে না।'
ফুয়েল লোডিংয়ের জন্য রিফুয়েলিং মেশিনটিকে প্রস্তুত করতে কাজ করেছে এটমটেকএনার্গো'র বিশেষজ্ঞরা। রসাটমের ইলেকট্রিক পাওয়ার ডিভিশনের অংশ এই প্রতিষ্ঠানটি এনপিপি কমিশনিং, বিদু্যৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ স্থাপনা তৈরিতে বিশেষভাবে পারদর্শী।
রূপপুরে রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় দুই ইউনিট বিশিষ্ট একটি পারমাণবিক বিদু্যৎকেন্দ্র নির্মাণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর ভিত্তিক প্রতিটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। রসাটম ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশন প্রকল্পের জেনারেল কন্ন্ট্রাক্টর এবং ডিজাইনার হিসেবে কাজ করছে।