না ফেরার দেশে গায়ক জুয়েল

প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল
এক যুগের বেশি সময় ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন নব্বই দশকের গায়ক হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। মঙ্গলবার ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃতু্য হয়। তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। জুয়েলের মেজ ভাই মহিবুল রেজা রুবেল বলেন, 'ওর অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু গত রাত থেকে শ্বাসকষ্টের সমস্যাটা হঠাৎ বেড়ে যায়। সকালে হাসপাতাল থেকে ফোন করে আমাদের সবাইকে আসতে বলা হয়। আমরা হাসপাতালে পৌঁছানোর ৩০-৪০ মিনিট পরে জুয়েল মারা যায়।' হাসপাতাল থেকে জুয়েলের মরদেহ বনানীর বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর বাদ আসর গুলশানের আজাদ মসজিদে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। জানা যায়, ২০১১ সাল থেকে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছেন জুয়েল। শুরুতে যকৃতে ক্যান্সার ধরা পড়ে। সেখান থেকে এই মারণব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে ফুসফুসেও। দেশে ও দেশের বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে জুয়েলের চিকিৎসা হয়েছে। কিন্তু মাঝেমধ্যেই শরীর খারাপ করছিল তার। এর মধ্যে শ্বাসকষ্ট গুরুতর হলে গত ২৩ জুলাই তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। গান গাওয়ার পাশাপাশি টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতাও ছিলেন এই গায়ক। যুক্ত ছিলেন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজেও। পরিবারে তার স্ত্রী এবং এক মেয়ে আছে। নব্বইয়ে দেশে ব্যান্ড সংগীত নিয়ে যখন তুমুল উন্মাদনা শুরু হয়, জুয়েল সংগীত জগতে পা রাখেন ঠিক সেই সময়টায়। তার প্রথম অ্যালবাম 'কুয়াশা প্রহর' প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় 'এক বিকেলে (১৯৯৪)', 'আমার আছে অন্ধকার' (১৯৯৫), 'একটা মানুষ' (১৯৯৬), 'বেশি কিছু নয়' (১৯৯৮), 'বেদনা শুধুই বেদনা' (১৯৯৯), 'ফিরতি পথে' (২০০৩), 'দরজা খোলা বাড়ি' (২০০৯) এবং 'এমন কেন হলো' (২০১৭)। জুয়েলের ১০টি একক অ্যালবামের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে 'এক বিকেলে' অ্যালবামটি। এটি প্রকাশের পর তার নাম হয়ে যায় 'এক বিকেলের জুয়েল'।