সরকারের পদত্যাগ দাবি
গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কালো পতাকা মিছিল
প্রকাশ | ২৯ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৪, ১১:৪৫
যাযাদি রিপোর্ট
কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের নিহত হওয়ার ঘটনাকে 'গণহত্যা' দাবি করে সরকারের পদত্যাগ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে কালো পতাকা মিছিল করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। প্রেস ক্লাব থেকে শুরু হওয়া কালো পতাকা মিছিলটি পুরানা পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতাকর্মীরা।
রোববার দুপুর পৌনে ১টায় মিছিল শুরু হয়। কারফিউ প্রত্যাহার, মামলা দিয়ে তুলে নেওয়া, বন্দি ছাত্রদের মুক্তির দাবিও জানান জোটের নেতাকর্মীরা। মিছিল থেকে তারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্স্নোগান দিতে থাকেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলন গণঅভু্যত্থানে রূপ নিয়েছে। সেই গণঅভু্যত্থান দমনের জন্য সরকার নৃশংস হত্যাকান্ড চালিয়েছে। বাসা-বাড়ি থেকে ছাত্রদের তুলে নেওয়া হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদে কালো পতাকা মিছিল করছি।
গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম বলেন, ছাত্রদের আন্দোলন বলে আর আলাদা করার সুযোগ নেই। ৯ বছরের শিশু থেকে ৫০ বছরের মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এত কম সময় চালানো এই হত্যাকান্ড শুধু হত্যা নয়, গণহত্যা। আসুন, সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এই স্বৈরাচারী সরকারের পদত্যাগের আন্দোলনে যোগ দিন। যতদিন এই সরকারের পতন না হবে, ততদিন আমাদের এই আন্দোলন চলবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাফিকুল জামান ফরিদ, বিপস্নবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায়, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সহ-সভাপতি দীপা মলিস্নক, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা প্রমুখ।