'আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কোনো ধরনের গুলির নির্দেশনা দেওয়া ছিল না। কিন্তু রংপুরের ছাত্রটি কীভাবে গুলিবিদ্ধ হয়ে হত্যাকান্ডের শিকার হলো, সেটি তদন্তের বিষয়। আমরা সেটার সঠিক তদন্তের দাবি জানাই। একই সঙ্গে রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুলের শিক্ষার্থীকে কে বা কারা গুলি করেছে, আমরা তারও সুষ্ঠু বিচার দাবি করি। কারণ, ওই শিক্ষার্থী যেখানে গুলিবিদ্ধ হয়েছে, সেখানে তার যাওয়ার কথা নয়।'
শনিবার দুপুরে দিনাজপুর শহরের বাসুনিয়াপট্টি এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত দলীয় কার্যালয়টি পরিদর্শন করেন। ১৮ জুলাই আন্দোলনের সময় দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল। সভায় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান, সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, 'আমরা স্স্নোগান দিই, শেখ হাসিনা ভয় নাই রাজপথ ছাড়ি নাই। কিন্তু আমরা রাজপথে থাকতে পারি নাই। স্স্নোগান দেব অথচ রাজপথে থাকব না, সেটা হতে পারে না। রাজনীতি কোনো আয়েশ করার জায়গা নয়। আমি রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছি মানে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কাছে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছি।'
বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরকে উদ্দেশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ওপর ষড়যন্ত্র বারবার এসেছে। কোনো ষড়যন্ত্রই তারা (বিএনপি) সফল হতে পারেনি বলেই একটি মীমাংসিত ইসু্যকে কেন্দ্র করে ছাত্রদের প্রতিবাদী চিন্তাভাবনাকে কাজে লাগিয়ে তারা বাংলাদেশকে জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ঢাকা শহরে তারা যা করেছে, এটা কোনো বিবেকবান মানুষ, স্বাধীনতাকামী মানুষ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকামী মানুষ করতে পারে না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও নানা ইসু্যতে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে, কিন্তু কখনো কোনো অফিস-আদালত ভাঙচুর ও আগুন সন্ত্রাস করে নাই।'