উদ্বেগ জানিয়ে ফলকার টুর্ককে দেড়শ' বিশিষ্টজনের চিঠি

প্রকাশ | ২৮ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘটিত সহিংসতা ও বর্তমান ঘটনাপ্রবাহে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষাবিদ, লেখক ও বুদ্ধিজীবীরা। জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার টুর্ককে গত বৃহস্পতিবার লেখা এক চিঠিতে এ উদ্বেগ জানান তারা। সেই সঙ্গে তারা এ বিষয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ১৪০ জনের বেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি এ চিঠিতে সই করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্ট করেছেন লেখক অমিতাভ ঘোষ। চিঠিতে বলা হয়, বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও অন্যদের হতাহত হওয়ার ঘটনায় তারা (চিঠিতে সই করা বিশিষ্টজনেরা) গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ওই ঘটনা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে বিক্ষোভ প্রদর্শনের মৌলিক অধিকারই শুধু খর্ব করেনি, বরং বাংলাদেশ সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের অধীন মানুষের জীবনধারণের অধিকারের নিশ্চয়তাকে উপহাস করেছে। তথ্যপ্রবাহের ক্ষেত্রে অব্যাহত বাধা সৃষ্টি করার কারণে সহিংসতার শিকার শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক ও অন্যদের বিষয়ে খুব কম খবরই পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান বিশিষ্টজনেরা। তারা বলেন, এ অবস্থায় বাংলাদেশে থাকা সহকর্মীদের কাছ থেকে তারা জেনেছেন, পুলিশের হাতে কয়েকশ বিক্ষোভকারী নিহত ও হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। চিঠিতে এই বিশিষ্টজনেরা বাছবিচারহীন গ্রেপ্তার, শোকজ ছাড়াই আটক, আটক বা গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের আইনজীবীর সহায়তা পাওয়ার সুযোগ না দেওয়া, আহত করা, নির্যাতন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের এমন ঘটনা থামাতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। বিশিষ্টজনেরা বলেন, ভয়ভীতি ও নির্যাতনের এমন পরিবেশের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার হিসেবে ফলকার টুর্কের কাছে তারা ওই সব ঘটনায় একটি স্বাধীন তদন্ত পরিচালনার জন্য চাপ প্রয়োগের অনুরোধ জানাচ্ছেন; যাতে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী সহিংসতা ঘটানো এবং সংবাদ প্রকাশ ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনা যায়। চিঠিতে সই করা উলেস্নখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন- জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ক্রিগার আইজেনহাওয়ার অধ্যাপক বীণা দাস, লেখক অমিতাভ ঘোষ, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস ১৯৩১ চেয়ার অব জিওগ্র্যাফি অ্যাশ আমিন, কলেজ দ্য ফ্রান্সের অধ্যাপক দ্যদিয়ার ফসিন, নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড লুডেন, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক শেলডন পোলক ও পার্থ চ্যাটার্জি, লন্ডনের এসওএএস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাওমি হোসেন, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডায়ানা ইক, শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যান্ডরু ব্র্যান্ডেল, ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আশুতোষ ভর্শনি, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফয়সাল দেভজি প্রমুখ।