আধুনিক প্রযুক্তি

ভূমি-মাটি ছাড়াই উৎপাদন হচ্ছে স্বপ্নের ফসল

প্রকাশ | ২১ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৭

আলতাব হোসেন
চলনবিলের নতুন পানিতে কলা গাছের ভেলায় চড়ে মাছ শিকার করছেন এক কিশোরী। ছবিটি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার সাবগাড়ী এলাকা থেকে তোলা -নাজমুল হাসান
সীমিত জমির উত্তম ব্যবহার করে ফসলের ফলন বাড়ানো যায় এই নিয়ে সারা বিশ্বে চলছে ব্যাপক গবেষণা। এই গবেষণায় সফলতা এসেছে। এই ব্যাপক বিস্তর গবেষণার ফলাফল স্বরূপ পৃথিবীর সিংহভাগ মানুষ আজো পেটপুরে খেতে পারে। যদিও এখনো খাদ্য নিরাপত্তার বাইরে আছে শতকোটির বেশি মানুষ, যারা একবেলাও পেটপুরে খেতে পায় না। এই সমস্যার সমাধানে বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করেছেন এমন একটি আধুনিক ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি যেখানে চাষাবাদে প্রয়োজন হবে না ভূমি বা মাটির। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো কোনো গাছের মূলেই মাটি নেই। মাটি ছাড়া কেবল নারিকেলের ছোবড়া আর পানিতে জন্মাচ্ছে গাছগুলো। এ পদ্ধতির নাম হাইড্রোপনিক। হাইড্রোপনিক বর্তমান সময়ের অত্যাধুনিক কৃষি চাষ পদ্ধতি। জৈব চাষের বর্তমান রমরমা সময়ে মাটি ছাড়াই যা হয়ে উঠছে ভবিষ্যতের দিশারি। অতি লাভজনক ফসলের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে মাটির পরিবর্তে পানি এবং নারিকেলের ছোবড়ার মাধ্যমে গাছের প্রয়োজনীয় খাবার সরবরাহ করে ফসল ফলানো যায়। যেখানে স্বাভাবিক চাষের জমি কম বা জমি একেবারেই নেই, সেখানে পানিতে এ হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে প্রথমে সাফল্য পান বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের কৃষিবিজ্ঞানীরা। তাদের দেখানো পথে এখন এটি ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে। পানিতে চাষাবাদের এ পদ্ধতির কেতাবি নাম 'হাইড্রোপনিক পদ্ধতি।' ইউরোপ, আমেরিকা, জাপান, তাইওয়ান, চীন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং প্রাচ্যের দেশগুলোতে বাণিজ্যিকভাবে হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে সবজি ও ফল উৎপাদন বেশ জনপ্রিয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশের শহরে বসবাসকারী মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মাটি ছাড়া সবজি চাষ। অল্প সময়ে সহজ উপায়ে শাকসবজি চাষ করা যায়। এখন মাটিবিহীন ছোট পাত্রে উৎপাদন হচ্ছে টমেটো, লাকশাক, লাউ, লেটুস, লাউ, কাঁচামরিচ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শসা, খিরা, ক্যাপসিকাম, স্ট্রবেরি, মটরশুঁটিসহ নানা ফসল। মাটি ছাড়া চাষাবাদের এই বিশেষ পদ্ধতির নাম হাইড্রোপনিক। গবেষকরা বলছেন, এ পদ্ধতিতে বাড়ির বারান্দা, ছাদ, উঠানে পস্নাস্টিকের পট বা পলি টানেলে অধিক শস্য চাষ করে পারিবারিক চাহিদার অনেকাংশই পূরণ করা সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে অবসর সময়ও ভালো কাটে। ভাবছেন মাটি ছাড়া ফসল আবাদ কীভাবে সম্ভব, হঁ্যা হাইড্রোপনিক এমনই একটি প্রযুক্তি যার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে মাটির পরিবর্তে পানিতে গাছের প্রয়োজনীয় খাবার সরবরাহ করে ফসল উৎপাদন করা হয়। হাইড্রোপনিক পদ্ধতি হলো নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে মাটির পরিবর্তে পানিতে গাছের খাদ্য উপাদান সরবরাহ করে শস্য উৎপাদনের একটি কৌশল। বাংলাদেশ জনবহুল একটি দেশ এবং প্রতি বছরই আবাদি জমির পরিমাণ উলেস্নখযোগ্য হারে কমে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে উন্নত দেশসমূহের মতো আমরাও হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে চাষ করে বছরব্যাপী বিভিন্ন শাকসবজি, ফলমূল উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মেটাতে পারব। টমেটো, ক্যাপসিকাম, কাঁচামরিচ ও স্ট্রবেরির গাছগুলো বেশ পরিপক্ব। কয়েকদিন পরই ধরবে ফল। কিন্তু আশ্চযের্র ব্যাপার, এ গাছগুলোর মূলে মাটির চিহ্ন পর্যন্ত নেই। শুধু নারিকেলের ছোবড়া আর পানিতে জন্মেছে গাছগুলো। মাটি ছাড়া এ চাষ পদ্ধতির নাম 'হাইড্রোপনিক'। এ চাষাবাদে ইতোমধ্যে সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। আধুনিক এ চাষ পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে ভবিষ্যতের দিশারি। এ পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে মাটির পরিবর্তে পানি এবং নারিকেলের ছোবড়ার মাধ্যমে গাছের প্রয়োজনীয় খাবার সরবরাহ করে ফসল ফলানো হয়। গাজীপুরের কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ঘুরে দেখা যায়, জালঘেরা ও গ্রিনহাউসের মতো জায়গায় দুটি লোহার কাঠামোর টেবিলে মাটি ছাড়া চাষাবাদ চলছে। এক সারিতে পানির লম্বা পাত্রের ওপর কর্কশিট দিয়ে ভাসমান অবস্থায় বিভিন্ন গাছের চারা ও বড় গাছ রাখা হয়েছে। স্বচ্ছ পানির মধ্যে গাছগুলোর মূল দেখা যাচ্ছে। পাম্পের মাধ্যমে দিনে দুবার মাটির বিভিন্ন উপাদানমিশ্রিত পানি দেওয়া হয়। আরেকটি সারিতে মাটির পরিবর্তে নারিকেলের ছোবড়ার মধ্যে একই ধরনের সবজি চাষ হচ্ছে। নারিকেলের ছোবড়ার সারিতেও একইভাবে পাম্প দিয়ে পানি সরবরাহ করা হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, 'মাটির বিভিন্ন উপাদান, খনিজ ইত্যাদি পানিতে মিশিয়ে পাত্রে রাখা হয়। এরপর সেখানে গাছের চারা রোপণ করা হয়। চারাগুলো কর্কশিট দিয়ে আটকানো থাকে, যাতে হেলে না পড়ে। মোটরের মাধ্যমে পানি রিসাইকেল করা হয়। উপাদানগুলোও ঘুরতে থাকে। আর নারিকেলের ছোবড়ার মধ্যে গুঁজে দেওয়া চারায়ও মাটির উপাদানমিশ্রিত পানি দেওয়া হয়। ঘরের বারান্দা, ড্রয়িংরুমের পানির বালতিতেও এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা যায়। লেটুসপাতা ২৬ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে খাওয়ার উপযোগী হয়। এ ছাড়া টমেটো, স্ট্রবেরি ও ক্যাপসিকাম দুই-আড়াই মাসের মধ্যে ফল দেয়। একই পদ্ধতিতে অন্যান্য ফুল ও সবজি চাষের বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চলছে।' মাটিবিহীন এ চাষ মডেলে মাটির পরিবর্তে পানিতে অথবা নারিকেলের আঁশের গুঁড়ায় ১০/১০ ফুট সাইজের পলিহাউসে অল্প খরচে নিত্যব্যবহৃত বিভিন্ন পরিত্যক্ত দ্রব্য যেমন তেলের বোতল, পানির বোতল, অন্যান্য কনটেইনারসহ পস্ন্যাস্টিকের টবে অনায়াসে বিভিন্ন পাতা, ফল ও মূল জাতীয় সবজি ও কিছু কিছু ফলের চাষাবাদ করা যায়। এ পদ্ধতির সুবিধা হলো, ১০০ বর্গফুট জায়গায় বছরজুড়ে বিভিন্ন সবজি উৎপাদন সম্ভব; যার জন্য জমির প্রয়োজন নেই। নারিকেলের আঁশের গুঁড়া ও পানিতে জলীয় খাদ্য উপাদান দিয়েও ফসল উৎপাদন করা যায়। পোকার আক্রমণে কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না। এ ছাড়া মাঠের চাষাবাদের চেয়ে দ্রম্নত ও বেশি ফসল পাওয়া যায়। সংশ্লিষ্টরা জানান, চারা লাগানোর ট্রের আকার বিভিন্ন মাপের হতে পারে। সাধারণত ৩/১ মিটার মাপের ট্রে হলে রক্ষণাবেক্ষণ ভালোভাবে করা যায়। আকার অনুযায়ী তার ভেতর পরিমাণমতো পানি নিতে হবে। পানির গভীরতা ৬-৮ সেন্টিমিটার হতে হবে। প্রতিটি গাছ থেকে গাছ এবং সারি থেকে সারি ৩০ সেন্টিমিটার দূরে রাখতে হবে এবং কর্কশিটের ওপর এ দূরত্ব অনুযায়ী ছোট্ট গর্ত করতে হবে। তারপর প্রতিটি গর্তে একটি করে সুস্থ-সবল চারা রোপণ করতে হবে। সম্প্রতি গাজীপুরের কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ঘুরে দেখা যায়, জালে ঘেরা ও গ্রিনহাউস দেওয়া জায়গায় দুটি লোহার কাঠামো করা টেবিলে পাশাপাশি মাটি ছাড়া চাষাবাদ চলছে। এক সারিতে পানির লম্বা পাত্রের ওপর ককশিট দিয়ে ভাসমান অবস্থায় বিভিন্ন গাছের চারা এবং বড় গাছ রাখা হয়েছে। স্বচ্ছ পানির মধ্যে গাছগুলোর মূল দেখা যাচ্ছে। একটি পানির পাম্প দিয়ে দিনে দুবার মাটির বিভিন্ন উপাদানমিশ্রিত পানি আদানপ্রদান (রিসাইকেল) করা হয়। অন্যদিকে আরেকটি সারিতে মাটির পরিবর্তে নারিকেলের ছোবড়ার মধ্যে একই ধরনের সবজি চাষ করা হয়। নারিকেলের ছোবড়ার সারিটির প্রতিটি গাছের পাশে পাম্প দিয়ে মাটির উপাদানমিশ্রিত পানি দেওয়া হয়। স্বল্প পরিসরে মাটিবিহীন চাষাবাদ মডেলে দেখা যায়, এই পদ্ধতিতে মাটির পরিবর্তে পানিতে অথবা নারিকেলের আঁশের গুঁড়ায় ১০ ফুট/১০ ফুট সাইজের পলিহাউজে স্বল্প খরচে নিত্য ব্যবহার্য বিভিন্ন পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি যেমন- তেলের বোতল, পানীয় বোতল ও অন্যান্য কনটেইনারসহ পস্নাস্টিকের টবে অনায়াসে বিভিন্ন পাতা, ফল ও মূল জাতীয় সবজি ও কিছু কিছু ফলের চাষাবাদ করা যায়। এ পদ্ধতিতে ১০০ বর্গ ফুট জায়গা থেকে সারা বছর বিভিন্ন সবজি উৎপাদন করা সম্ভব; চাষাবাদে চাষযোগ্য জমির প্রয়োজন পড়ে না; নারিকেলের আঁশের গুঁড়া ও পানিতে জলীয় খাদ্য উপাদান দিয়ে ফসল উৎপাদন করা যায়; রোগ পোকার আক্রমণে কোনো কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না; সারা বছরব্যাপী ২-৩ সদস্যের পরিবারের জন্য সবজি ও ফল জাতীয় সবজি সরবরাহ করা সম্ভব; মাঠের চাষাবাদের চেয়ে আগাম ও ২-৩ গুণ ফসল পাওয়া যায়। সংশ্লিষ্টরা জানান, চারা লাগানোর ট্রের সাইজ বিভিন্ন মাপের হতে পারে যা সেটির ধারকের ওপর অনেকটা নির্ভর করে। সাধারণত ৩ মিটার/১ মিটার মাপের ট্রে হলে ব্যবস্থাপনা ভালোভাবে করা যায়। আকার অনুযায়ী তার ভেতর পরিমাণ মতো পানি নিতে হবে। পানির গভীরতা ৬-৮ সেমি হতে হবে। পানিতে প্রতি ১০০ লিটার পানির জন্য এক লিটারে খাদ্য উপাদান দ্রবণ যোগ করতে হবে। দ্রবণের মিশ্রণ তৈরির পর ট্রের উপর ককশিট স্থাপন করতে হবে। প্রতিটি গাছ থেকে গাছ এবং সারি থেকে সারি ৩০ সেমি দূরে দূরে রাখতে হবে এবং ককশিটের ওপর এই দূরত্ব অনুযায়ী ছোট গর্ত করতে হবে। তারপর প্রতিটি গর্তে ১টি করে সুস্থ সবল চারা রোপণ করতে হবে। সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রতি বছর বাংলাদেশের জনসংখ্যা, আবাসনের জন্য ঘরবাড়ি, যোগাযোগের জন্য রাস্তা এবং কলকারখানা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে দিন দিন কমে যাচ্ছে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ। বর্ধিত জনসংখ্যার অব্যাহত খাদ্য চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে তাই শুধু আবাদি জমির ওপর নির্ভর করা যাবে না। দেশের এমন অবস্থায় প্রয়োজন অব্যবহৃত খালি জায়গা ও পতিত স্থান শস্য চাষের আওতায় আনা। হাইড্রোপনিকস চাষ পদ্ধতি এ ক্ষেত্রে সঠিকভাবে আরোপযোগ্য একটি কৌশল। এ পদ্ধতি বাড়ির ছাদে, আঙিনায়, বারান্দায় কিংবা চাষের অযোগ্য পতিত জমিতে সহজেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এছাড়াও এই চাষাবাদে কোনো কীটনাশক বা আগাছানাশক কিংবা অতিরিক্ত সার দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। ফলে এসব সবজি পোকামাকড় বা কীটনাশকমুক্ত এবং মান সম্মত। তাই হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে অনায়াসে গড়ে তুলা সম্ভব অরগানিক ফসলের সম্ভার। বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে দিন দিন আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। পক্ষান্তরে বর্ধিত মুখের চাহিদা পূরণ করতে প্রয়োজন হচ্ছে অতিরিক্ত খাদ্য। হাইড্রোপনিক হল একটি অত্যাধুনিক ফসল চাষ পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে মাটি ছাড়া ভিন্ন মাধ্যমে ফসল উৎপাদন করে সে চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। এ পদ্ধতিতে একদিকে যেমন অনুর্বর এবং উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকার জায়গা ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ফসল উৎপাদন করা যাবে তেমনি শহরেও বদ্ধ জায়গায় উচ্চমূল্যের ফসল উৎপাদন করে লাভবান হওয়া সম্ভব হবে। শহরের বাসিন্দাদের যাদের কোনো জমি নেই, তারা পলি টানেল, টব, বালতি, জগ, বোতল, পাতিল, পস্নাস্টিকের থালায় অনায়াসে হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে সবজি, ফল ও ফুল উৎপাদন করতে পারবেন। তিনি জানান, এই চাষাবাদে কোনো কীটনাশক বা আগাছানাশক প্রয়োজন পড়ে না। অনায়াসে গড়ে তোলা যায় অরগানিক ফসলের সম্ভার। সঞ্চালন পদ্ধতিতে গাছের অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য উপাদানগুলো যথাযথ মাত্রায় মিশিয়ে একটি ট্যাঙ্কে নেওয়া হয় এবং পাম্পের সাহায্যে ট্রেতে পুষ্টি দ্রবণ সঞ্চালন করে ফসল উৎপাদন করা যায়। আর সঞ্চালনবিহীন পদ্ধতিতে ট্রেতে গাছের প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান পরিমিত মাত্রায় সরবরাহ করে সরাসরি ফসল উৎপাদন করা হয়। ছাদে লাল শাকের চাষ পদ্ধতি মাটির চেয়ে হালকা জৈবপ্রযুক্তির এই মাধ্যমের জন্য প্রথমেই প্রয়োজন হবে কোকোমাস (নারিকেলের ছোবড়া) ও কোকোডাস্ট (নারিকেলের ছোবড়া থেকে পাওয়া গুঁড়া)। রাজধানীতে যারা বাস করছেন তারা কোকোডাস্ট পাবেন আগারগাঁওয়ের সব নার্সারিতে। পরিমাণে বেশি লাগে, তাই নিতে পারেন ৫০ কেজি ওজনের বস্তাভর্তি কোকোমাস। অন্যদিকে কোকোমাস পাওয়া যাবে লেপতোষক-জাজিম বানানোর দোকানে। দোকান থেকে অল্প পরিমাণে কোকোডাস্ট নিলে তাতে খুদে জীবাণু বা ক্ষতিকর কোনো কিছুর উপস্থিতি থাকতে পারে। তাই তা শোধন করে নেওয়া ভালো। রাসায়নিকভাবে কৃষি পরীক্ষাগারে, গরম পানি ব্যবহার করে, সেদ্ধ করে কিংবা বালাই ও ছত্রাকনাশক ব্যবহার করে কোকোডাস্টের বিশুদ্ধতা আনা যায়।