রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

যন্ত্রপাতি সরবরাহ দেখিয়ে ৫ কোটি টাকা লোপাট আসামি ৬ কর্মকর্তা

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৭ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
যন্ত্রপাতি সরবরাহ দেখিয়ে ৫ কোটি টাকা লোপাট আসামি ৬ কর্মকর্তা

জাল নথিপত্র তৈরির মাধ্যমে ল্যাবরেটরির যন্ত্রপাতি সরবরাহ দেখিয়ে বিল বাবদ প্রায় ৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

শুক্রবার সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নূর আলম সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউসে স্থাপিত উদ্ভিদ সংগনিরোধ ল্যাবরেটরিকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যাবরেটরিতে রূপান্তর প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এসএম খালিদ সাইফুলস্নাহ, উপ-প্রকল্প পরিচালক অনন্ত সরকার, মাল্টিবিজ ইটারন্যাশনালেন মালিক মো. ইকবাল হোসেন, শহিদুলস্নাহ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস লিমিটডের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মুনির উদ্দিন আহমদ ও আশরাফুজ্জামান এবং সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী মো. গোলাম কবীর।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ, জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ল্যাবরেটরির যন্ত্রপাতি সরবরাহের জাল নথিপত্র তৈরির মাধ্যমে ৪ কোটি ৭৫ লাখ ১৪ হাজার ৯৬৭ টাকা বিল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত ১৫ জুলাই নির্মাণকাজ ও ল্যাবরেটরির যন্ত্রপাতি সরবরাহ না করে প্রায় ১৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজের অভিযান চালিয়েছিল দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। ওই অভিযানের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় দুদক।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শ্যামপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউস। রপ্তানির আগে কাঁচাপণ্যের মান যাচাই ও প্যাকিংয়ের সুবিধার জন্য এই ল্যাবরেটরিকে আন্তর্জাতিক মানে তৈরির উদ্যোগ নেয় সরকার। ২০২১ সালে নেওয়া এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১৫৮ কোটি টাকা। ২০২৫ সালের জুন মাসে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। নিয়মানুযায়ী প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পরই অর্থ ছাড় করার কথা থাকলেও ৩০ হাজার ৬১৭ স্কয়ার ফিটের ৬ তলা ভবনের নির্মাণকাজের মাত্র পাইলিংয়ের ক্যাপের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে সিভিল ওয়ার্কের ১২ কোটি টাকার মধ্যে ৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা তুলে নিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাল্টিবিজ ইন্টারন্যাশনাল।

অন্যদিকে ল্যাবরেটরি আধুনিকায়নের জন্য কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউসের টক্সিকোলজি ল্যাবে নতুন ১৮টি মেশিন সরবরাহ করার কথা থাকলেও বাস্তবে সরবরাহ করেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কার্নেল ইন্টারন্যাশনাল। কাগজপত্রে মেশিন সরবরাহ দেখিয়ে ১১ কোটি ৮ লাখ ১০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যার অনুসন্ধান চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে