কোটা আন্দোলনে আকাশ পথে টহলের সময়র্ যাবের হেলিকপ্টার থেকে কোনো ধরনের গুলি করা হয়নি বা কোনো আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি বলে দাবি করেছের্ যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্(যাব)। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতের্ যাব এ দাবি করে।
র্
যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'অনেকটা নিরুপায় হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলাচলের পথ সুগম করা এবং দ্রম্নত ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন ও ধ্বংসযজ্ঞ প্রতিরোধে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্যর্ যাবের হেলিকপ্টার থেকে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে হেলিকপ্টার থেকে কোনো প্রকার গুলি করা হয়নি বা কোনো আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি।'
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সহিংসতা ও নাশকতার সময় দুর্বৃত্তরা কোমলমতি শিশু-কিশোরদের আত্মরক্ষার ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে রাস্তা অবরোধ করে। তখন ধ্বংসযজ্ঞ প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তারা। কোমলমতি শিশু-কিশোররা সামনে থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ বল প্রয়োগ থেকে বিরত থাকে।'
'জনসাধারণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায়র্ যাব ফোর্সেসের হেলিকপ্টার টহল কার্যক্রম' নিয়ের্ যাব সদর দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা গত ১৮ জুলাই সারাদেশে 'কমপিস্নট শাটডাউন' কর্মসূচি ঘোষণা করে। ওই শাটডাউন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালীন কতিপয় দুষ্কৃতকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, অগ্নিসংযোগ, সংঘর্ষ ও নাশকতার মাধ্যমে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি এবং সরকারি ও জনগণের সম্পত্তির ক্ষতি সাধন করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা চালায়।
'রাজধানীর বাড্ডা ও নারায়ণগঞ্জের শিমরাইলে দুর্বৃত্তরা হামলা ও আক্রমণ করে সাধারণ জনগণ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবরুদ্ধ করে ভবনে অগ্নিসংযোগ করে। গত ১৮ জুলাই আন্দোলনকারীদের আক্রমণের শিকার হয়ে আটকে পড়া ডিএমপি'র সদস্যরা। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির ছাদে অবস্থান নিলে দুপুর ২টা ১৬ মিনিটে ৬১ জন পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করের্ যাবের হেলিকপ্টার। গত ২০ জুলাই বিকালে নারায়ণগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় দুর্বৃত্তরা মা হাসপাতাল ভবনের নিচে অগ্নিসংযোগ করলে ওই ভবনের বাসিন্দা ও হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা ছাদে অবরুদ্ধ হন। ওই সময় ভবনের নিচে ৩ জন শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃতু্য বরণ করেন। ভবনের ছাদে অবরুদ্ধরার্ যাবের সহায়তা চাইলে ওই হাসপাতালের কর্মচারীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৩৬ জন সদস্যকের্ যাবের হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়া হয়।'
'আকাশ পথের্ যাবের হেলিকপ্টার টহল ও উদ্ধারসহ সব কার্যক্রমের ভিডিও চিত্রর্ যাবের পক্ষ থেকে ধারণ করা হয়েছে, যা ইতোমধ্যে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম,র্ যাবের ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত, সরকারি স্থাপনা রক্ষা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতের্ যাবের সব সদস্য বদ্ধ পরিকর। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও দেশব্যাপী নিরাপত্তা নিশ্চয়নের্ যাবের টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।'